পাঁচ বছরের শিশু কন্যা ফাহিমা হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে বাবা আমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে অভিযুক্ত আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করে এলিট ফোর্সটি।
বুধবার সকালে র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিখোঁজের সাত দিন গত ১৪ নভেম্বর কুমিল্লার দেবিদ্বারের এলাহাবাদ ইউনিয়নের কাচিসাইর গ্রামের নজরুল মাস্টারের বাড়ির সামনের একটি ঝোঁপ থেকে বাজারের ব্যাগে ফাহিমার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নিহতের বাবা নিজেই থানায় অভিযোগ করেন।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, শিশু ফাহিমা ৭ নভেম্বর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ ও মাইকিং করে তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আমির হোসেন ১১ নভেম্বর থানায় উপস্থিত হয়ে নিজেই নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এরপর র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা দল ও র্যাব-১১ এর একটি দল ছায়া তদন্ত শুরু করে। তদন্তে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পরবর্তীতে মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে শিশু ফাহিমা হত্যাকাণ্ডে জড়িত বাবা আমির হোসেনসহ অন্যান্য আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিং করে বিস্তারিত বলা হবে বলে জানান কমান্ডার মঈন।
এদিকে ঘটনার সময় স্থানীয় কাচিসাইর গ্রামের গৃহবধূ আমেনা বেগম নামে গণমাধ্যমে জানান, শিশুটির চেহারা বিকৃত ছিল। আর শরীর ফোলা ছিল। শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারাল অস্ত্রের আঘাত ছিল এবং কানের লতিগুলো ছেঁড়া ছিল।
নিহতের মা হোছনা আক্তার ও দাদা জহিরুল ইসলাম মরদেহ উদ্ধারের পর জানিয়েছিলেন শিশুটির কানে এক জোড়া স্বর্ণের রিং ছিল, সেগুলো ছিনিয়ে নিতেই কেউ কানের লতি ছিঁড়ে ফেলে এবং তাদের চিনে ফেলার ভয়ে তাকে হত্যা করতে পারে বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু র্যাবের অভিযানে শিশুটির বাবা আমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমির পেশায় ট্রাক্টর চালক ছিলেন।