ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে একটি তেলবাহী জাহাজে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধদের পাঁচজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ নিয়ে মোট ৬ জনের মৃত্যু হলো।
মঙ্গলবার ভোর থেকে রাত সাড়ে সাতটা পর্যন্ত এক দিনেই এই পাঁচজনের মৃত্যু হয় বলে জানান শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন।
মৃতরা হলেন- শহিদ তালুকদার (৪০), মেহেদী হাসান (২৮), মো. পিরন (৪০), মো. রনি (২৭) এবং আশিকুর রহমান (২৫)।
গত ১২ নভেম্বর ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ সাতজনকে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছিল।তাদের মধ্যে দুইজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন। তিনি বলেন, ওই ঘটনায় সাতজন এসেছিলেন। এর মধ্যে দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তারা হলেন- ইমাম উদ্দিন (৩২) ও রুবেল (৩৮)।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওইদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জাহাজ সাগর নন্দিনী-৩ এর ইঞ্জিন রুমে পাম্প মেশিন মেরামত করার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ওই কক্ষে আগুন লাগে। জাহাজের ১৩ স্টাফের মধ্যে ৮ জন দগ্ধ হন। এর মধ্যে সুকানি কামরুল ইসলাম (৩৫) ঘটনাস্থলেই মারা যান। কামরুলের বাড়ি বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ উপজেলায়।
ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী ও পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন ঘটনাস্থলে এসে তেল দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
ঝালকাঠির পদ্মা অয়েল কোম্পানির কর্মী আব্দুস সালাম জানিয়েছিলেন, সাগর নন্দিনী-৩ প্রায় ১১ লাখ লিটার পেট্রল ও ডিজেল নিয়ে ঝালকাঠির পদ্মা অয়েল কোম্পানির সামনে সুগন্ধা নদীতে নোঙর করে। বুধবার (১০ নভেম্বর) পদ্মা ডিপোতে পেট্রল খালাস করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে জাহাজটি নদীর দক্ষিণপাড়ে নোঙর করে রাখা হয় শুক্রবার (১২ নভেম্বর) ডিজেল খালাস করার কথা ছিল।
জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে ৯ লাখ লিটার ডিজেল ও ২ লাখ লিটার পেট্রল নিয়ে ঝালকাঠিতে এসেছিল বল জানিয়েছিলেন ঝালকাঠি পদ্মা অয়েলের সুপার আখের আলী।