পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে একটি সেনা চেকপোস্টে হামলা চালিয়েছে বন্দুকধারীরা। হামলায় ২০ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৯ জন মিলিটারি পুলিশ। অন্যজন বেসামরিক নাগরিক। এখন পর্যন্ত কেউ হামলার দায় স্বীকার করেনি।
দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় ইনাতা স্বর্ণখনির কাছে মিলিটারি পুলিশের একটি চেকপোস্টে এই হামলার ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্ট ও রয়টার্সের প্রতিবেদনেও ২০ জনের মৃত্যুর খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
২০১৫ সালে বুরকিনা ফাসোতে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে সশস্ত্র বাহিনীর ওপর যেসব হামলা হয়েছে রবিবারের হামলাটি তার মধ্যে ভয়াবহ ছিল।
হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে ২২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই হামলাকে বর্বর ও কাপুরুষোচিত বলে উল্লেখ করেছেন বুরকিনা ফাসোর নিরাপত্তামন্ত্রী ম্যাক্সিম কোন।
কে বা কারা এই হামলা করেছে এখন পর্যন্ত স্পষ্ট করতে পারেনি দেশটির সরকার। এছাড়া কোনো গোষ্ঠীও হামলার দায় এখন পর্যন্ত স্বীকার করেনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে
২০১৫ সাল থেকে সশস্ত্র মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর হামলা মোকাবিলায় রীতিমতো সংগ্রাম করছে বুরকিনা ফাসো। সশস্ত্র এসব গোষ্ঠীর বেশিরভাগই আল কায়দা এবং আইএস’র সঙ্গে সম্পৃক্ত।
হাজার হাজার জাতিসংঘকর্মী আঞ্চলিক ও পশ্চিমা সৈন্যের উপস্থিতি থাকার পরও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বুরকিনা ফাসো, নাইজার এবং মালির বিস্তৃত এলাকাজুড়ে আল কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে সম্পর্কিত জিহাদিদের হামলা তীব্রতর হয়েছে। এসব হামলায় অনেক বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সরকার আলোচনার চেষ্টা চালালেও কাজ হচ্ছে না।