জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন আজ

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন

বাংলা গদ্যের জাদুকর এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন আজ। ১৯৪৮ সালের এই দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই বাংলা সাহিত্যের এই কিংবদন্তি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ইন্তেকাল করেন।

হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন পালন উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন, প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।

শুক্রবার রাত ১২টার পর লেখকের ধানমন্ডির ‘দখিন হাওয়া’ ফ্ল্যাটে কাটা হয় জন্মদিনের কেক। হুমায়ূনকে স্মরণ করে দুই ছেলে নিষাদ ও নিনিতকে নিয়ে কেক কাটেন লেখকের সহধর্মিণী মেহের আফরোজ শাওন। এছাড়া আজ শনিবার শাওন তার দুই ছেলেকে নিয়ে যাচ্ছেন হুমায়ূনের স্মৃতিধন্য গাজীপুরের পিরুজালী গ্রামের নূহাশপল্লীতে। সেখানে লেখকের সমাধিতে ফুল দিয়ে নিবেদন করবেন শ্রদ্ধাঞ্জলি। মিলাদ মাহফিলের পাশাপাশি এতিমদের মাঝে খাদ্য বিতরণ করা হবে।

লেখকের জন্মদিনের আগের দিন শুক্রবার এক্সিম ব্যাংক অন্যদিন হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হয়। সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন এবং নবীন সাহিত্যশ্রেণীতে ফাতেমা আবেদীন এই পুরস্কার পেয়েছেন। বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

- বিজ্ঞাপন -

স্কুলজীবনে হুমায়ূন আহমেদকে পিতার চাকরিস্থলে কুমিল্লা, সিলেট, বগুড়া, পঞ্চগড়সহ বিভিন্ন জেলায় বসবাস করতে হয়। তিনি ১৯৬৭ সালে বগুড়া জিলা স্কুল থেকে প্রবেশিকা (রাজশাহী বিভাগে মেধাতালিকায় দ্বিতীয়), ১৯৬৯ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি এবং পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ছাত্রজীবনেই তার লেখালেখি শুরু। ১৯৭২ সালে তার প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ প্রকাশ পায়। তখন তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ১৯৭৪ সালে প্রকাশিত হয় দ্বিতীয় উপন্যাস ‘শংখনীল কারাগার’। এই দুটি বই প্রকাশের পর হুমায়ূন আহমেদ একজন শক্তিশালী কথাশিল্পী হিসেবে পাঠকমহলে সমাদৃত হন। সেই থেকে জীবিতকালে তার দুই শতাধিক বই প্রকাশিত হয়।

দীর্ঘ প্রায় পাঁচ দশক তিনি লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার লেখায় বাঙালি সমাজ ও জীবনধারার গল্পমালা ভিন্ন আঙ্গিকে এবং রসাত্মক ও বিজ্ঞানসম্মতভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। গল্প বলায় ভাষার ব্যবহারে নিজস্ব একটা কৌশল এবং বর্ণনায় লোকজধারাকে প্রাধান্য দেন। বাস্তবতা থেকেই উঠে এসেছে তার প্রতিটি সৃষ্টিকর্ম। মানুষের মানচিত্রও উঠে এসেছে। বাংলা সাহিত্যের কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যে তাকে পথিকৃৎ বলেছেন সমোলোচকরা। তিনি উপন্যাস, গল্প, জীবনী, নাটক, চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তার লেখা বেশ কয়েকটি উপন্যাস, কয়েকটি নাটক, কয়েকটি চলচ্চিত্র কালজয়ী কর্ম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

গত দশকের একজন সৃষ্টিশীল ও জনপ্রিয় লেখক হচ্ছেন হুমায়ূন আহমেদ। শিক্ষকতায় ছিলেন দীর্ঘদিন। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। লেখালেখিকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করে শিক্ষকতা থেকে তিনি অবসর নেন। শিল্প-সংস্কৃতির প্রসারে হুমায়ূন আহমেদ গাজীপুরে প্রতিষ্ঠা করেন ‘নুহাশ পল্লী’। এই প্রতিষ্ঠানই ছিল তার সব কাজের আঙ্গিনা।

সাহিত্যে অবদানের জন্য হুমায়ূন আহমেদ একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, লেখক শিবির পুরস্কার, মাইকেল মধুসূদন পদকসহ অসংখ্য পুরস্কার লাভ করেন।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!