গত এক বছরে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২,৫৫৪ ডলারে। অর্থাৎ গত অর্থবছর মাথাপিছু আয় যেখানে ২,২২৭ ডলার ছিল, সেখানে এক বছরের ব্যবধানে তা ৩২৭ ডলার বেড়েছে।
সম্প্রতি মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) হিসেবের জন্য নতুন ভিত্তিবছর চূড়ান্ত করা হয়। ২০১৫-২০১৬ ভিত্তিবছর ধরে এখন থেকে জিডিপি, প্রবৃদ্ধি, বিনিয়োগ, মাথাপিছু আয় গণনা করা শুরু হয়েছে। এতোদিন ২০০৫-২০০৬ ভিত্তিবছর ধরে এসব গণনা করা হতো।
প্রসঙ্গত, মাথাপিছু আয় কোনো ব্যক্তির একক আয় নয়। দেশের অভ্যন্তরের পাশাপাশি রেমিট্যান্সসহ যত আয় হয়, তা দেশের মোট জাতীয় আয়। জাতীয় আয়কে মাথাপিছু ভাগ করে এ আয় পাওয়া যায়।
এদিকে, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মতে, ২০১৫-২০১৬ ভিত্তিবছর ধরে হিসাব করায় আগের কয়েক বছরের মাথাপিছু আয়ও বেড়ে গেছে। এ হিসেবে ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ১,৪৬৫ ডলার। নতুন এ হিসাবে হয়েছে ১,৭৩৭ ডলার। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ২,০২৪ ডলার। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২,৩৩৫ ডলারে।
মাথাপিছু জিডিপিতে ভারতকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। অক্টোবরে দেআন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২১ সালে চলতি মূল্যে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি হবে ২,১৩৮ ডলার। অন্যদিকে, ভারতের মাথাপিছু জিডিপি হবে ২,১১৬ ডলার। অর্থাৎ দেশের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের নাগরিকরা ভারতের চেয়ে গড়ে বেশি আয় করে।