বাগেরহাটের রামপালে সকল রাজনৈতিক দলে নারীদের যথাযথ অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিতকরণের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় রামপাল থানা মোড়ে উপজেলা নারী উন্নয়ন ফোরামের আয়োজনে ও অপরাজিতা নারীর ক্ষমতায়ন প্রকল্পের সহযোগিতায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নারী উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হোসনেয়ারা মিলির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন। উপজেলা অপরাজিতা সমন্বয়কারী পার্থপ্রতিম ঠাকুরের সঞ্চালনায় অন্যান্যর মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা অপরাজিতা সমন্বয়কারী আতাবুর রহমান টিপু, রামপাল উন্নয়ন সমন্বয়কারী এ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন শেখ, অধ্যাপিকা সায়রা খাতুন, সাংবাদিক সুজন মজুমদার, অপরাজিতা সদস্য রত্না মিস্ত্রী, মায়া রানী হালদার, মিনা দাস, ঝর্ণা, তাসলিমা আক্তার বৃষ্টি, হোসনেয়ারা বেগম, সরলা মন্ডল, স্মৃতি পাল, সুষমা বিশ্বাস, দীপা মন্ডল, কৃষ্ণা রানী দে, রত্না মিস্ত্রী, গোপেশ্বরী বিশ্বাস, হালিমা বেগম প্রমূখ। মানববন্ধনের শুরুতে জান্নাতুল ফেরদৌস অপরাজিতার বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা পত্র পাঠ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের নির্দেশনা অনুসারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সকল পর্যায়ের কমিটি যেন কমপক্ষে ৩৩% নারীদের অন্তর্ভুক্ত করার শর্ত পূরণের দাবি জানান। ২০০৯ সালে সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে ১৯৭২ অনুসারে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত সকল রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটি এবং জেলা, উপজেলা পর্যাযের কমিটিতে ২০২০ সালে ৩৩% শতাংশ নারীর প্রতিনিধিত্ব অর্জিত হওয়ার কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে আশানুরূপ অগ্রগতি অর্জিত হয়নি। নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধন সংক্রান্ত আইন ২০২০ প্রণয়নের কাজ চলছে। যেখানে কমিটিসমূহ ৩৩% শতাংশ নারীর প্রতিনিধিত্ব থাকার বিধান রাখা হলেও এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি।
মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কবির হোসেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা নির্বাচন অফিসার শেখ জাকারিয়া ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।