অক্টোবর ২০২১ সারাদেশে ১৬০৩ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে শুধু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১০১ জন। এছাড়া ১৬ জন শিশুসহ ১৮ জন অপহরণের শিকার এবং ৪ জন শিশুসহ পাচারের শিকার হয়েছেন ২৯ জন। হত্যা করা হয়েছে ৫১ জনকে এবং ২৮ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দেশের ১৪ টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৪১ শিশু। এরমধ্যে তিনজন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার এবং ৪ জন কন্যাশিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। ২ জন শিশুসহ ৭জনকে ধর্ষণচেষ্টা করা হয়েছে। অ্যাসিডদগ্ধ হয়েছেন ৩ জন, অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন ২ জন। ৬ জন শিশু উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছে। ১৬ জন শিশুসহ ১৮ জন অপহরণের শিকার, একজন কন্যাশিশুকে অপহরণচেষ্টা করা হয়েছে। ৪ জন শিশুসহ পাচারের শিকার হয়েছে ২৯ জন। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৬ জন, যার মধ্যে দুজনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে।
শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৬ জন শিশুসহ মোট ২৩ জন। বিভিন্ন কারণে ১২ জন কন্যাশিশুসহ ৫১ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও পাঁচজন কন্যাশিশুসহ ১৬ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ১৪ জন কন্যাশিশুসহ ২৮ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
আটজন কন্যাশিশুসহ ১৯ জনের আত্মহত্যা করেছে। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা হয়েছে সাতজনের। দুজন কন্যাশিশুসহ সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছে পাঁচজন।
অন্যদিকে, দুঃখজনক হলেও শারদীয় দুর্গাপূজায় বিভিন্ন জেলায় ১৮টি মন্দিরে ও পূজা মণ্ডপে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও হতাহতের ঘটনার বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে, যা অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশে অনাকাঙ্খিত বলে জানিয়েছে মহিলা পরিষদ নেতারা।