উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের খেলায় আটালান্টার বিপক্ষে হারতেই বসেছিলো ইংলিশ জায়ান্ট ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এই ম্যাচে ত্রাতা রুপে আবির্ভাব হন ক্লাবটি পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। দুইবার পিছিয়ে থেকেও জোড়া গোল করে শেষ পর্যন্ত ২-২ গোল ব্যবধানে ড্র করে হার ঠেকিয়েছে ওলে গানার সুলশারের শিষ্যরা।
মঙ্গলবার রাতে ‘এফ’গ্রুপের ম্যাচটিতে ইতালিয়ান ক্লাবটির বিপক্ষে বল দখলের লড়াই, গোলমুখে শট, সব দিক থেকেই সমানে সমান লড়াই চলে। তবে স্কোরলাইনে অধিকাংশ সময়ই এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরা। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই গোল পেয়ে যেতে পারত ইউনাইটেড। মিডফিল্ডার স্কট ম্যাকটমিনের শট এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে দিক পাল্টে পোস্টে লাগে।
ম্যাচের ১২তম মিনিটে এগিয়ে যায় আতালান্তা। পুরো দায়টাই অবশ্য গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়ার। ইলিচিচের নিচু শট আয়ত্ত্বের মধ্যে থাকলেও ঝাঁপিয়ে ধরতে গিয়ে তালগোল পাকান তিনি। পিছিয়ে পড়ে ইউনাইটেড।
এগিয়ে গিয়ে আটালান্টাও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে। আক্রমণাত্মক ফুটবলের জন্য পরিচিত দলটি মাঝেমধ্যেই ভীতি ছড়াতে থাকে ইউনাইটেড রক্ষণে।
তবে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে দারুণ পাসিং ফুটবলে সমতায় ফেলে ইউনাইটেড। ম্যাকটমিনের পাস ধরে ডান দিকে রোনালদোকে বাড়িয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন ব্রুনো ফের্নান্দেস। রোনালদো তার ডানে গ্রিনউডকে পাস দেন, তিনি আবার খুঁজে নেন ফের্নান্দেসকে। এরপর সতীর্থের ব্যাকহিলে বল পেয়ে নিচু শটে ঠিকানা খুঁজে নেন পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার।
৫৬ মিনিটে আবারও এগিয়ে যায় আটালান্টা। ডিফেন্ডার হ্যারি ম্যাগুইয়ার ক্লিয়ার করার চেষ্টা করলেও বলে পা লাগাতে পারেননি। ছয় গজ বক্সের মুখ থেকে প্রথম ছোঁয়ায় গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন জাপাতা।
এরপর গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। কিন্তু একের পর আক্রমণেও কাজ হচ্ছিলো। এক সময় মনে হচ্ছিল ২-১ ব্যবধানে হেরেই বুঝি মাঠ ছাড়বে ম্যান ইউ। কিন্তু যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে রোনালদোর ওই গোল। ডি-বক্সের মধ্যে থেকে গ্রিনউডের কাটব্যাক বাইরে পেয়ে জোরালো কোনাকুনি ভলিতে দলকে উল্লাসে ভাসান পর্তুগিজ তারকা। ফলে ২-২ ব্যবধানে ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে সুলশারের শিষ্যরা।