মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে নাটোরসহ ৫২ রেলওয়ে স্টেশনের উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলের পাকশী ও লালমনির হাট ডিভিশনের আওতায় এই উন্নয়ন কাজের জন্য প্রায় ৩শ’ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
এই উন্নয়ন কাজের মধ্যে রয়েছে স্টেশন সমুহের প্লাটফরম সম্প্রসারন ও উঁচু করণ সহ প্লাট ফরমের সেড এবং সীমানা প্রাচীর নির্মান। এছাড়া এই প্রকল্পের আওতায় স্টেশন এলাকায় বৈদ্যুতিকরন কাজও রয়েছে। ইতিমধ্যে নাটোর, সান্তাহার, বগুড়া, জয়পুরহাট সহ প্রকল্পের অধীন প্রায় সবকটি স্টেশনের উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে।
নাটোর স্টেশন প্লাটফরম উন্নয়ন কাজের জন্য প্রায় তিন কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ম্যাক্স আরটিসি নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নাটোর ও সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশনের উন্নয়ন কাজ সম্পাদন করছে।
সান্তহার রেলওয়ে প্রকৌশল কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী আফজাল হোসেন জানান, ‘নাটোর স্টেশন প্লাট ফরম সম্প্রসারন ও উঁচু করন কাজ সহ প্লাটফরম সেডের কাজ শুরু করেছে ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠান। যাত্রিদের কোন ধরনের সমস্যায় পড়তে না হয় সেদিকটা খেয়াল রেখে কাজ শুরু করা হয়েছে।
নাটোর স্টেশনের কাজ আগে শুরু হয়েছে। প্লাট ফরমের সম্প্রসারন, উঁচু করন ও সেড নির্মান হবে। দু’টি প্লাট ফরমের প্রায় ৩৪৫ ফুট সম্প্রসারিত করা হবে। স্টেশনের চারপাশে প্রায় ৩ হাজার ফুট সীমানা প্রাচীর নির্মান করা হবে। এছাড়া সম্প্রসারিত এলাকায় বৈদ্যুতিকরন করা হবে।’
নাটোরের স্টেশন মাষ্টার অশোক চক্রবর্তী বলেন, ‘স্টেশনের চারিদিকে সীমানা প্রাচীর নির্মান কাজ শেষ হলে বহিরাগত কেউ অবৈধভাবে স্টেশন প্লাট ফরমে প্রবেশ করতে পারবেনা। এতে যাত্রিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।’
পশ্চিমাঞ্চল রেলের জিএম মিহির কান্তি গুহ বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শত বর্ষপুর্তি উপলক্ষে রেল যাত্রিদের সেবার মান বাড়াতে ৫২ রেল স্টেশনের উন্নয়ন কাজ হাতে নেয়া হয়েছে।
এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩শ কোটি টাকা। পশ্চিমাঞ্চল রেলের পাকশী ও লালমনিরহাট ডিভিশনের আওতায় এই উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে যাত্রি সেবার মান অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।’ চলতি অর্থ বছরেই এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে তিনি আশা করছেন।