নাটোরের সিংড়া উপজেলার আদিমপুর গ্রামের মো. আবু সাঈদ। বয়স ৭০ এর কোঠায়। শুরুটা ১০ জোড়া কবুতর দিয়ে হলেও এখন তার কবুতরের সংখ্যা সাড়ে ৩০০ জোড়া ছাড়িয়ে গেছে। পাঁচ বছর আগে শুরু করা শখে কবুতর পালন এখন আর শখে সীমাবদ্ধ নেই, পরিণত হয়েছে পেশায়। খরচ বাদে বর্তমানে তার মাসিক প্রায় এক লক্ষ টাকা।
সৌখিন কবুতর খামারি আবু সাঈদের খামারে রয়েছে ইন্ডিয়ান ফান্টেল, লাহোর কালো, হলুদ, তুরিবাজ লাল,কালো, এলমন্ড, ইন্ডিয়ান নোটন, দেশি লোটন, বাশিরাজ কোকা, মাক্সি রেচার হুমা, সবজে গিরিবাজ, লাল,সাদা, হলুদ বোম্বাই, কালদম, মুক্ষি লাল, হলুদ, কালো, সিলভার, কফি, ঝরনা শাটিন, ল্যাভেন্ডার সুয়া চন্দন, শেকড়সহ ৩০ প্রজাতির কবুতর।
সৌখিন কবুতর খামারি আবু সাঈদ সাময়িকীকে জানান, একসময় শুধু শখের বসে কবুতর পালন করতাম, এখন বাণিজ্যিকভাবে পালন করছি। শখ পূরণের পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবেও লাভবান হয়েছি।আজ থেকে ৫ বছর আগে ইউটিউবে কবিতার পালনের ভিডিও দেখে খামার তৈরির উদ্যোগ ও প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম।
এখন আমার খামার থেকে ঢাকা, গাজীপুর, রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ থেকে ব্যবসায়ী ও খামারীরা এসে কবুতরের বাচ্চা ক্রয় করে নিয়ে যায়। খামারে কবুতরের বাচ্চার সর্বনিম্ন দাম ৩ হাজার টাকা জোড়া এবং সর্বোচ্চ দাম ৪০ হাজার টাকা।
বর্তমানে আমি প্রতি মাসে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার কবুতরের বাচ্চা বিক্রি করি। আগামীতে প্রতি মাসে ২ লক্ষ টাকায় কবুতরের বাচ্চা বিক্রি করব বলে আশা করছি।’ সরকারি সহযোগিতায় কবুতর রফতানি করে বছরে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা এস এম খুরসিদ আলম সাময়িকীকে জানান, আবু সাঈদ একজন সফল খামারি। আমি তাঁর খামার পরিদর্শন করেছি, খুবই ভাল লেগেছে। এছাড়াও এ উপজেলায় শতাধিক কবুতর খামারি রয়েছে। তাদেরকে আমরা পরামর্শ দিয়ে থাকি। খামারীরা চাইলে আমরা সকল প্রকার পরামর্শ ও সহযোগিতা করতে আগ্রহী।’