টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসরে সুবিধা করতে পারছে না ভারত। নিজেদের প্রথম ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের কাছে ১০ উইকেটে হারার পর দ্বিতীয় ম্যাচেও হেরেছে বড় ব্যবধানেই। আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে বিরাট কোহলিদের ৮ উইকেটে হারালো নিউজিল্যান্ড। এই হারের ফলে সেমিফাইনালে উঠার পথ অনেকটাই কঠিন হয়ে গেল ভারতের।
বিরাট কোহলিদের দেয়া মাত্র ১১১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ইতিবাচক ক্রিকেট খেলতে থাকে দুই কিউই ওপেনার। এরপরও পাওয়ার প্লেতে একটি উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। চতুর্থ ওভারের খেলায় জাস্প্রিত বুমরাহর করা বলে শার্দুল ঠাকুরের হাতে ক্যাচ তুলে দেন মার্টিন গাপটিল। আউট হওয়ার আগে করেন ২০ রান।
এদিকে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলীয় অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসনকে সঙ্গে নিয়ে ৭২ রান তুলে দলকে জয়ের দিকেই নিয়ে যান ওপেনার ড্যারি মিচেল। জয়ের একদম অন্তিম মুহূর্তে ব্যক্তিগত ৪৯ রানে ফেরেন মিচেল। শেষ পর্যন্ত খেলে গিয়ে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন উইলিয়ামসন। ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। এছাড়া ২ রানে অপরাজিত ছিলেন ডেভন কনওয়ে।
এর আগে আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত ম্যাচের শুরুতে টস জিতে ভারতকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। ৮ বলে ৪ রান করে ফেরেন ওপেনার ঈষাণ কিষাণ। আর ১৮ রানে ফেরেন আরেক ওপেনার লোকেশ রাহুল। এদিকে দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে নেমে রোহিত শর্মা তুলেন মাত্র ১৪ রান।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে রিশাব পান্ত এবং হার্দিক পান্ডিয়া মিলে দলকে সম্মানজনক স্কোর এনে দিতে মাটি কামড়ে ব্যাট করতে থাকেন। খুব বেশি রান তুলতে না পারলেও ২২ রানে জুটিটিই মনে হচ্ছিল এই ইনিংসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। ১৯ বলে ১২ রান তুলে আউট হন রিশাব পান্ত।
এরপর রবিন্দ্রো জাদেজাকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় স্কোরটা একশো পার করেন হার্দিক। তিনি ফেরেন ব্যক্তিগত ২৩ রানে। এদিকে শেষ পর্যন্ত খেলে যান জাদেজা। ১৯ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ২৬ রানে থাকেন অপরাজিত। এছাড়া শূন্যরানে মাঠ ছাড়েন মোহাম্মদ শামি।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রানের খরচায় সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট। এছাড়া ৪টি করে ওভার করে ১৭ রানে দুটি উইকেট নেন ইশ সোদি। আর টিম সাউদি এবং অ্যাডাম মিলনে একটি করে উইকেট পেয়েছেন।