বর্তমান ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫’ আইনে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা পুরোপুরি নিষেধ। তবে বিদ্যমান আইনে বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত পণ্যের প্রদর্শনী বন্ধে সুনির্দিষ্ট কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। আর এ সুযোগে তামাক কোম্পানীগুলো বিক্রয়কেন্দ্রে তাদের পণ্যের প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রকারন্তরে মূলত পণ্যের প্রসার ঘটাচ্ছে। আর এজন্য সুপারমার্কেটসহ সকল বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত পণ্যের প্রদর্শনী ও খুচরা বিক্রি বন্ধে বর্তমান আইনের সংশোধন চান বাংলাদেশ সুপারমার্কেট ওনার্স এসোসিয়েশন (বিএসওএ)-এর নেতৃবৃন্দ।
গত ২৭ অক্টোবর বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ সুপারমার্কেট ওনার্স এসোসিয়েশনের সাথে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের এক যৌথ মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ দাবি জানান। বাংলাদেশ সুপারমার্কেট ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নিয়াজ রহিম, ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের গ্র্যান্টস ম্যানেজার আবদুস সালাম মিয়া, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের সহকারী পরিচালক মোঃ মোখলেছুর রহমান, তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়কারী মোঃ শরিফুল ইসলাম, মিডিয়া ম্যানেজার রেজাউর রহমান রিজভী, প্রোগ্রাম অফিসার শারমীন আক্তার রিনি, অদূত রহমান ইমন প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ সুপারমার্কেট ওনার্স এসোসিয়েশনের প্রধান উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নিয়াজ রহিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০৪০ সালে তামাকমুক্ত করার ভিশনের সঙ্গে বাংলাদেশ সুপারমার্কেট ওনার্স এসোসিয়েশন একমত পোষণ করছে। এছাড়া আগামী প্রজন্মকে রক্ষার্থে তামাকজাত পণ্যের প্রদর্শনের বিরুদ্ধে আইন করা উচিত বলে আমরা মনে করছি। উপরন্তু সেই আইনের সঠিক বাস্তবায়ন যাতে হয় সেজন্যও সকলের প্রতি আমাদের আহবান থাকবে।
বাংলাদেশ সুপারমার্কেট ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন বলেন, তামাকের কুফল যেহেতু সব দেশেই সর্বজন স্বীকৃত, তাই এটার নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। আর এটা সকলেই জানেন যে, যে কোন মাদকের শুরুই ধূমপান দিয়ে হয়। আর তাই আমরাও চাই তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণাকে সফল করতে। দেশে বর্তমানে দুইশ’র অধিক সুপারমার্কেট রয়েছে। আমরা আমাদের সদস্যদেরকে তাদের নিজ নিজ সুপারমার্কেটে তামাকজাত পণ্যের প্রদর্শনী বন্ধে যথাসম্ভব উদ্যোগ গ্রহণ করবো। আর দেশকে তামাকমুক্ত করার লক্ষে আইনী সংশোধনের মাধ্যমে বিক্রয়কেন্দ্রগুলোকে তামাকজাত পণ্য প্রদর্শন ও খুচরা বিক্রয় বন্ধ করার সরকারের নিকট দাবি জানাচ্ছি।