মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে হওয়া মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের এই সময়ের সবচেয়ে আলোচিত ও সমালোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রবিউল আলমের আদালতে জামিনের আবেদন করেন তিনি।
এদিন শুনানি শেষে পরীমনির জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক রবিউল আলম। এর আগে সকাল ৯টায় নায়কা ঢাকা দায়রা জজ আদালতে হাজিরা দেন। এদিন পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট আমলে নেওয়ার দিন ধার্য ছিল।
এর আগে গত ১৩ অক্টোবর একই আদালতের বিচারক চার্জশিট আমলে নেওয়ার জন্য ২৬ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। গত ১০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার মামলার চার্জশিট গ্রহণ করেন। এরপর আদালত মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন।
ওই দিন পরীমনির আইনজীবী তার স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন। এছাড়া মামলার দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবির হোসেনেরও জামিন মঞ্জুর করা হয়।
গত ৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার অপর দুই আসামি হলেন- আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবির হোসেন।
তার আগে গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে প্রতিবেদন দাখিল হওয়া পর্যন্ত পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্ত হন এ চিত্রনায়িকা।
গত ৪ আগস্ট সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাব। পরদিন ৫ আগস্ট বিকেলে পরীমনি, চলচ্চিত্র প্রযোজক রাজ ও তাদের দুই সহযোগীকে বনানী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপর র্যাব বাদী হয়ে বনানী থানায় পরীমনি ও তার সহযোগী দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে। সেই মামলায় পরীমনিকে আদালতে হাজির করা হলে প্রথমে চার দিনের রিমান্ড ও পরে আরও দুই দফায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
এরপর ১৩ আগস্ট পরীমনিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। সেসময় তিন দফায় আবেদন করেও জামিন পাননি তিনি। পরে হাইকোর্টের দারস্থ হন। হাইকোর্ট পরীমনির জামিন শুনানি দ্রুত নিষ্পত্তির আদেশ দেন। এরপর ৩১ আগস্ট জামিন পান এই অভিনেত্রী। পরদিন ছাড়া পান কারাগার থেকে।