৭৭ বারেও স্ত্রীকে গর্ভবতী করতে পারেনি, তাই বন্ধুর বিরুদ্ধে মামলা

সিদ্ধার্থ সিংহ
সিদ্ধার্থ সিংহ
2 মিনিটে পড়ুন
ছবি: সংগৃহীত।

নিজে সন্তান জন্ম দিতে সক্ষম। কিন্তু সন্তানের আকাঙ্খা ছাড়তে পারেননি। তাই তিনি তাঁর খুব কাছের এক স্বাস্থ্যবাণ বন্ধুকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন স্ত্রীকে গর্ভবতী করার।

কিন্তু সেই বন্ধু মোট ৭৭ বার চেষ্টা করেও তাঁর বউকে গর্ভবতী করতে পারেননি। আর তাতেই বেজায় চটে গিয়ে এ বার বন্ধুর বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করেছেন তানজানিয়ার এক পুলিশকর্মী। যাঁর নাম দারিয়াস মাকামবাকো।

৫০ বছর বয়সী আফ্রিকান এই নাগরিক বন্ধ্যা বা ইনফার্টাইল সমস্যায় ভুগছিলেন। চিকিৎসকেরা নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানিয়ে দেন, তাঁর পক্ষে আর বাবা হওয়া সম্ভব নয়।

বিয়ের ৬ বছর পরেও সন্তান না হওয়ায় অবসাদে ভুগছিলেন তাঁর ৪৫ বছর বয়সি স্ত্রীও। তাই বউয়ের মুখে হাসি ফোটানোর জন্যই এই পুলিশকর্মী দ্বারস্থ হন তাঁর ৫২ বছর বয়সি বন্ধু ইভান্স মাস্তানোর কাছে। তিনি অনুরোধ করেন, তাঁর স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করার জন্য।

- বিজ্ঞাপন -

প্রথমে রাজি না হলেও, ২০ লাখ তানজিনিয়ান সিলিং, মানে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬০ হাজার টাকায় রাজি হন ইভান্স। শর্ত ছিল, আগামী ১০ মাস ধরে প্রতি সপ্তাহে ৩ বার করে তাঁর বউয়ের সঙ্গে যৌন মিলন করতে হবে।

জানা যায়, চুক্তি অনুযায়ী মোট ৭৭ বার ‘কসরত’ করেন ইভান্স। কিন্তু তাতে কোনও ফল মেলেনি। পরে চিকিৎসকেরা জানান, ইভান্সও ইনফার্টাইল।

যদিও এই দাবি স্বীকার করতে প্রথমে রাজি ছিলেন না ইভান্স। কারণ, একটি নয়, তাঁর দু’-দুটি সন্তান রয়েছে। এ নিয়ে প্রচুর জলঘোলা হয়। পরে ইভান্সের বউ চাপে পড়ে স্বীকার করতে বাধ্য হন যে, ওই সন্তানেরা আসলে ইভান্সের নয়, দুটি সন্তানই তাঁর ভাই এডওয়ার্ডের।

দারিয়াস মাকামবাকো এই সব পারিবারিক কেচ্ছা শুনতে রাজি নন। তিনি টাকা ফেরত চেয়ে মামলা রুজু করেছেন বন্ধু ইভান্সের নামে। তবে ইভান্সের দাবি, আমি তো কোনও গ্যারান্টি দিইনি। আমার সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছিল, আমি সেই চুক্তি অনুযায়ীই সব কাজ করেছি। তা হলে আমি টাকা ফেরত দিতে যাব কেন?

এই সমস্যার এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধান হয়নি, আদৌ হবে কি না তা সময়ই বলবে। তবে জানাজানি হওয়ায় ফলে আপাতত এই মুখোরোচক ঘটনাটি লোকজনের কাছে মজার খোরাক হয়ে উঠেছে।

- বিজ্ঞাপন -

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
২০২০ সালে 'সাহিত্য সম্রাট' উপাধিতে সম্মানিত এবং ২০১২ সালে 'বঙ্গ শিরোমণি' সম্মানে ভূষিত সিদ্ধার্থ সিংহের জন্ম কলকাতায়। আনন্দবাজার পত্রিকার পশ্চিমবঙ্গ শিশু সাহিত্য সংসদ পুরস্কার, স্বর্ণকলম পুরস্কার, সময়ের শব্দ আন্তরিক কলম, শান্তিরত্ন পুরস্কার, কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত পুরস্কার, কাঞ্চন সাহিত্য পুরস্কার, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা লোক সাহিত্য পুরস্কার, প্রসাদ পুরস্কার, সামসুল হক পুরস্কার, সুচিত্রা ভট্টাচার্য স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার, অণু সাহিত্য পুরস্কার, কাস্তেকবি দিনেশ দাস স্মৃতি পুরস্কার, শিলালিপি সাহিত্য পুরস্কার, চেখ সাহিত্য পুরস্কার, মায়া সেন স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার ছাড়াও ছোট-বড় অজস্র পুরস্কার ও সম্মাননা। পেয়েছেন ১৪০৬ সালের 'শ্রেষ্ঠ কবি' এবং ১৪১৮ সালের 'শ্রেষ্ঠ গল্পকার'-এর শিরোপা সহ অসংখ্য পুরস্কার। এছাড়াও আনন্দ পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত তাঁর 'পঞ্চাশটি গল্প' গ্রন্থটির জন্য তাঁর নাম সম্প্রতি 'সৃজনী ভারত সাহিত্য পুরস্কার' প্রাপক হিসেবে ঘোষিত হয়েছে।
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!