বাংলাদেশের বিভিন্নস্থানে সনাতন ধর্মালম্বীদের উপাসনালয়, বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, অগ্নিসংযোগ আর খুনের ঘটনার প্রতিবাদে সমাবেশ ও মানবন্ধন হয়েছে বরিশালে।
শনিবার সকাল থেকে অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। অশ্বিনী কুমার হলের সামনের সড়ক সদর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ করে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। যেখানে নগরী ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন মন্দিরের নেতৃবৃন্দ এবং সনাতন ধর্মালম্বীর ও বিভিন্ন সংগঠন অংশ নেয়।
এই প্রতিবাদ কর্মসূচীতে জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি মানবেন্দ্র বটব্যাল বলেন, এটা পরিস্কার যে কুমিল্লার ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক ইন্ধন জড়িত। আমাদের এখন দেখার বিষয় ইকবালের পর নেপথ্যের কুশীলবরা গ্রেপ্তার হচ্ছে কিনা। নাকি অতীতের ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক হামলার ন্যায় লোক দেখানো মামলা করে অপরাধীদের আইনের ফাঁক গলে বেড়িয়ে আসার সুযোগ তৈরী করে দিবে।
জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি মানবেন্দ্র বটব্যালের সভাপতিত্বে ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যান ট্রাস্টের ট্রাস্টি সুরঞ্জিৎ দত্ত লিটুর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর হোসেন, গণফোরামের সভাপতি হিরণ কুমার দাস মিঠু, নারী নেত্রী রেবেকা সুলতানা, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তমাল মালাকার প্রমূখ।
এর আগে সকাল ১০টা থেকে অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে প্রতীকি অনশন করে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা। দুপুর ১২টার দিকে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ অনশনরতদের সাম্প্রদায়িক হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির নিশ্চয়তা দেন সরকারের পক্ষ থেকে। এরপর মেয়র সংগঠনের নেতাদের নিজ হাতে পানি পান করান।
এখনে আয়োজক সংগঠনের নেতারা ছাড়াও একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন কমিউনিস্ট পার্টি, জাসদ, গণফোরাম, মহিলা পরিষদসহ অন্য নেতারা।