কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে ‘কোরআন রাখার’ অভিযোগে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনায় ২০ হাজার ৬১৯ জনকে অভিযুক্ত করে ১০২টি মামলা দায়ের হয়েছে। এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ৫৮৩ জনকে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
শুক্রবার (২২ অক্টোবর) ‘সরকারি হিসাব’ উল্লেখ করে বাসস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সহিংসতার পর ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুদের পুনর্বাসন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের আস্থা বৃদ্ধির জন্য সরকার এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকার ও দলের পক্ষ থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে নগদ সহায়তা, খাদ্য, কাপড়, অন্যান্য নিত্যপণ্য এবং গৃহ নির্মাণ সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) ঘোষণা দিয়েছেন, সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ঘর তৈরি করে দেয়া হবে। গণভবনে তার সরকারি বাসভবনে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করেছে।
সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দেশজুড়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নজরদারি জোরদার করা হয়েছে এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা তাদের সহায়তা করছে।