চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশের মোহাম্মদপুর থেকে দুই শিশুসন্তানসহ মায়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই এলাকার এসএস টাওয়ারের চতুর্থ তলার ফ্ল্যাট থেকে গতকাল শুক্রবার সকালে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে একটি শিশুর মরদেহ বিছানায় পড়ে ছিল। অন্য শিশুটি মায়ের সঙ্গে ওড়নায় ঝুলন্ত ছিল।
নিহতরা হলো সুমিতা খাতুন (৩০), জান্নাত আরা মুন (৭) ও সান বাবু (৩)। এ ঘটনায় সুমিতার স্বামী সোহেল রানাকে আটক করেছে পুলিশ। এই দম্পতির বাড়ি সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ থানার পাঙ্গাশিয়া এলাকায়। ১০ বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাঁরা চট্টগ্রামে বসবাস করছিলেন। সোহেল রানা নগরীর মুরাদপুর এলাকায় হারবাল ওষুধের ব্যবসা করতেন।
গতকাল সকাল ৭টার দিকে ওই ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে মরদেহগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। সকাল ১০টার দিকে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত সংগ্রহ শেষে দুপুরে মা ও শিশু দুটির মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
সিআইডির পরিদর্শক শাহজাহান কামাল বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক ধারণা, দুই সন্তানসহ মাকে হত্যা করা হয়েছে। কারণ ফাঁসিতে ঝুলে থাকলে ঘাড় ভেঙে যাওয়ার কথা, কিন্তু সুমিতার ঘাড় ভাঙেনি। মৃত্যুর কারণ জানা যাবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর।’
পাঁচলাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল কবির বলেন, পুলিশ ওই বাসার দুটি দরজা ভেঙে শোবার ঘরে প্রবেশের পর ছেলে, মেয়ে ও মায়ের লাশ দেখতে পায়। এর মধ্যে মেয়ের লাশটি ছিল বিছানায় আর মায়ের সঙ্গে ঝুলন্ত ছিল ছেলের লাশ।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দুই সন্তানকে হত্যার পর মা নিজে আত্মহত্যা করেছেন। কারণ বাসার দুটি দরজা পুলিশ ভেঙেছে। অন্য কোনো দরজা কিংবা জানালার গ্রিলও কাটা ছিল না।