কারা নিয়ন্ত্রণ করে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প?

কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজার প্রতিনিধি
3 মিনিটে পড়ুন

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে ছোটবড় শতাধিক সন্ত্রাসী গ্রুপ। অস্ত্র ও মাদক ব্যবসা, মানব পাচার, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডের নেপথ্যে রয়েছে সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে নিয়মিত চালানো হচ্ছে অভিযান।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-১৪ এর পুলিশ সুপার নাঈমুল হক বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বড় কোনো সন্ত্রাসী গ্রুপ নেই। যে বিচ্ছিন্ন গ্রুপ রয়েছে সেগুলো ছিনতাই ও ডাকাতির মতো ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এরই মধ্যে এ ধরনের কয়েকটা গ্রুপের সরদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।’

টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সক্রিয় রয়েছে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপ। এ গ্রুপগুলো নানা ধরনের অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িত। তাদের কারণে অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প।’ তিনি বলেন, ‘এ সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর তৎপরতা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ক্যাম্পের বাইরেও রয়েছে তাদের সমান বিচরণ। এ সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর হাতে প্রায় সময় বাঙালিরাও হামলার শিকার হন।’

জানা যায়, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পগুলোয় সক্রিয় রয়েছে ছোটবড় শতাধিক সন্ত্রাসী গ্রুপ। তারা ক্যাম্পে অপরাধ সাম্রাজ্য ধরে রাখতে বিভিন্ন ব্লকভিত্তিক তৈরি করেছে বাহিনী। এসব গ্রুপে একেকটিতে সদস্য রয়েছে সর্বনিম্ন ৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ পর্যন্ত। সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো নিজেদের বাহিনীর মাধ্যমে এলাকা ব্লকভিত্তিক অপরাধ কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণ করে। ক্যাম্পে সক্রিয় গ্রুপগুলো চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদক ব্যবসা, মানব পাচার, অপহরণসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণ করে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সক্রিয় রয়েছে ছোটবড় শতাধিক সন্ত্রাসী গ্রুপ। তাদের মধ্যে ক্যাম্পে সবচেয়ে বেশি আধিপত্য রয়েছে আদ্দু বাহিনী, জোকি বাহিনী, গিয়াস বাহিনী, সালমান শাহ বাহিনী, মাস্টার মুন্না বাহিনী ও মৌলভী বাহিনীর।

- বিজ্ঞাপন -

সালমান শাহ বাহিনীর প্রধান সালমান শাহ বর্তমানে কারাগারে থাকলেও তার গ্রুপের কয়েকজন মিলে সক্রিয় রেখেছে বাহিনীর কার্যক্রম। জোকি বাহিনীর প্রধান জোকি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হলে এ বাহিনীর হাল ধরেন জোকির বড় ভাই দিল মোহাম্মাদ আর জামিল। এ ছাড়া ক্যাম্পে সক্রিয় রয়েছে এমন সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর মধ্যে রকি বাহিনী, শুক্কুর বাহিনী, আবদুল হাকিম বাহিনী, সাদ্দাম বাহিনী, জাকির বাহিনী, নবী হোসেন বাহিনী, পুতিয়া বাহিনী, শাহ আজম বাহিনী, আবদুল্লাহ ওরফে দাদাভাই বাহিনী, বুলু বাহিনী, সুলতান বাহিনী, সফিক বাহিনী, রফিক বাহিনী, মুর্তজা বাহিনী, হামিদুল্লাহ বাহিনী, শরীফ হোসেন বাহিনী, রহমান বাহিনী, সবেদ উল্লাহ বাহিনী, আবদুল্লাহ বাহিনী, ফয়সাল বাহিনী, সোলাম বাহিনী, হামিদ হোসেন বাহিনী, মুহিবুর রহমান বাহিনী, দিলদার বাহিনী, আবু সাঈদ বাহিনী, তাহের বাহিনী, ফারুক বাহিনী, মুক্কুস বাহিনী, জুবায়ের বাহিনী, মুস্তফা বাহিনী, আবদুল্লাহ আইদি বাহিনী, হাসন শরীফ বাহিনী, আবদুল জলিল বাহিনী, হাফেজ উল্লাহ বাহিনী, আরমান খান বাহিনী, আইয়ুব বাহিনী, আমির হোসেন বাহিনী, নুর ইসলাম বাহিনী, আলী আকবর বাহিনী, কামাল বাহিনী, জাইবু রহমান বাহিনী, নাজিমুদ্দিন বাহিনী, সোনা উল্লাহ বাহিনী ও আরাফাত বাহিনী অন্যতম।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!