ইউক্রেনের ঘটনা। খুনের অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় তাঁর ছেলের। সেই ছেলেকে জেল থেকে চুপি চুপি বের করে আনার জন্য ৫১ বছর বয়সী ইউক্রেনের এক মা ৩৫ ফুট লম্বা এবং ১০ ফুট চওড়া সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ফেললেন।
তাঁর সবেধন নীলমণি একমাত্র ছেলে জেলে যাওয়ার পরে জেলের খুব কাছেই একটি বাড়ি ভাড়া নেন ওই মহিলা। সারা দিন তিনি ঘরের মধ্যেই থাকতেন। কারও সঙ্গে মিশতেন না। তিনি কখন বাজার যেতেন, কখন রান্না-বান্না করতেন, কখন খাওয়া-দাওয়া করতেন কেউ কিচ্ছু টের পেতেন না। এমনকী ওই বাড়ির বাড়িওয়ালা, যিনি দোতলায় থাকতেন, তিনিও নাকি কিচ্ছুটি টের পাননি।
ওই বাড়িতে ঘর ভাড়া নেওয়ার পরে রাত্রিবেলায় আশপাশের সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়তেন, তখন তিনি সাইলেন্সার লাগানো ইলেকট্রিক কুঠার দিয়ে ঘরের মেঝে খুঁড়তে শুরু করতেন।
আগেই তৈরি করে নিয়েছিলেন রুট ম্যাপ। সেই ভাবেই জেল-বরাবর চালিয়ে যাচ্ছিলেন খননের কাজ। সারা রাত ধরে তিনি মাটি খুঁড়তেন। আর রাতের মধ্যেই সেই মাটি বস্তায় ভরে ভরে তিনি সরিয়ে ফেলতেন। ফলে কারওরই বিন্দুমাত্র কোনও সন্দেহ হয়নি। আর তিনিও চুপিসারে চালিয়ে গেছেন তাঁর কাজ।
জেলের মাঠ পর্যন্ত যখন পৌঁছে গেছে তাঁর খোঁড়া সুড়ঙ্গ, তখনই জেলখানার ভেতরের টহলরত পুলিশের চোখে ধরা পড়ে যায় পুরো ঘটনাটি। সঙ্গে সঙ্গেই সেই মাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে ইউক্রেনের পুলিশ। তবে ছেলের জন্য মায়ের এই কাজ দেখে সবাই হতবাক। লোকেরা বলছেন, এই কাজ সন্তানের জন্য একমাত্র মায়েরাই করতে পারেন।