বরিশাল-চট্টগ্রাম রুটে জাহাজ চলাচল শুরু হচ্ছে নভেম্বরে। দীর্ঘ ৯ বছর প্রতীক্ষার অবসান হচ্ছে চট্টগ্রাম থেকে ভোলা-বরিশালে চলাচলকারী যাত্রীদের। ৭৫০ আসনের যাত্রীবাহী দুটি জাহাজ দিয়ে এই রুটে জাহাজ সার্ভিস চালু হবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) চট্টগ্রাম-বরিশাল রুটে এমভি বার আউলিয়া ও এমভি তাজউদ্দীন নামের দুটি জাহাজ চলাচলের উদ্যোগ নিয়েছে।
২০১২ সালে এ রুটে চলাচলকারী জাহাজগুলো জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ৯ বছর পর আবারও রুটটি চালু হলে চট্টগ্রামে বসবাস করা ভোলা ও বরিশাল অঞ্চলের যাত্রীদের দুর্ভোগের সমাপ্তি ঘটবে।
চট্টগ্রাম থেকে ভোলা ও বরিশালে সরাসরি যাতায়াতব্যবস্থা নেই। যাতায়াত করতে হয় অনেক পথ ঘুরে। চট্টগ্রাম থেকে বরিশালের যাত্রীরা বাস ও ট্রেনে চাঁদপুর যান। সেখান থেকে বাকি পথ যেতে হয় লঞ্চে। ভোলার বেশির ভাগ যাত্রী চট্টগ্রাম থেকে বাসে লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরী ঘাট দিয়ে পাড়ি দেন নিজ জেলায়। এভাবে এই রুটে চলাচল করতে গিয়ে সময় ও অর্থের অপচয় হয়। জাহাজ চালু হলে চট্টগ্রাম থেকে অল্প খরচে ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টায় সরাসরি ভোলা ও বরিশাল যেতে পারবেন যাত্রীরা।
বিআইডব্লিউটিসি জানায়, চট্টগ্রাম-বরিশাল রুটে দুটি জাহাজ চলাচল করবে। এর মধ্যে এমভি তাজউদ্দীন বর্তমানে চট্টগ্রাম-হাতিয়া রুটে চলাচল করছে। পুনর্র্নিমাণ শেষে চলাচলের জন্য প্রস্তুত বার আউলিয়া। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থ্রি এঙ্গেল ডকইয়ার্ড থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে জাহাজটি চট্টগ্রামে পৌঁছাবে।
বিআইডব্লিউটিসি চট্টগ্রামের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ফয়সাল আলম চৌধুরী জানান, চলতি মাসে বিআইডব্লিউটিএ এবং বিআইডব্লিউটিসির একটি যৌথ দল চট্টগ্রাম-বরিশাল নৌপথের সার্ভে করবে। এরপর সময় ও ভাড়া নির্ধারণসহ আনুষঙ্গিক অন্য কাজ শেষে আগামী মাসেই জাহাজ চলাচল শুরু হবে। প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে দুই দিন চলাচল করবে এই জাহাজ। চট্টগ্রামের সদরঘাট থেকে হাতিয়া, নোয়াখালী ও ভোলার ইলিশাঘাট হয়ে বরিশালের সদরঘাটে পৌঁছাবে জাহাজ; একই রুটে আবার ফিরবে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, পলি জমে নাব্য কমে যাওয়ায় জাহাজগুলো বর্তমানে সন্দ্বীপে যাত্রী আনা-নেয়া করতে পারবে না। জাহাজ দুটি চলাচল শুরু করলে চট্টগ্রাম ও বরিশালে পর্যটকের সমাগম বাড়বে।
সূত্র: নিউজবাংলা।