ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে শুরু হয়েছে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। মা ইলিশ সংরক্ষণ ও ইলিশের নিরাপদ প্রজননের জন্য আজ মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া এই নিষেধাজ্ঞা ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
গত বছর ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত এই অবরোধ দেওয়া হলেও প্রকৃতিগত কারণে এ বছর তা ১০ দিন এগিয়ে নিষেধাজ্ঞা শুরুর তারিখ ৪ অক্টোবর নির্ধারণ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এই সময়ের মধ্যে ইলিশ ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন, মজুদ ও বিনিময়ও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মা ইলিশ রক্ষায় মধ্যরাত থেকে দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে সমন্বিত বিশেষ অভিযান। আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের ৩৮টি জেলায় এই বিশেষ অভিযান চলবে।
মা ইলিশ রক্ষায় এবার নির্ধারিত সময় পর্যন্ত নৌপুলিশের পক্ষ থেকে নদীতে ভাসমান ফাঁড়ি পরিচালনা করা হবে। এছাড়া আকাশপথে বিমান বাহিনীর সদস্যরাও টহল দেবেন।
জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় মৎস্য দপ্তর, বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাব, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সমন্বিতভাবে এ অভিযান পরিচালনা করবে।
গত ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘মৎস্যজীবীদের স্বার্থেই মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং অভিযান পরিচালনা করা হয়। দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় যত কঠিন হওয়া লাগে, তত কঠিন হতে হবে।’
ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা গত বছরের তুলনায় অধিক সফল করতে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।