করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে স্থগিত হয়ে যাওয়া ১৬০টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ চলছে। এছাড়া ষষ্ঠ ধাপের স্থগিত ৯ পৌরসভায়ও চলছে ভোটগ্রহণ। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ, চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
এবারের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি। ফলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ইতিমধ্যে ৪৫টি ইউপি এবং তিনটি পৌরসভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছেন। জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য দল নির্বাচনী মাঠে থাকলেও ক্ষমতাসীনরা একচেটিয়া জয় পেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইসি সচিবালয়ের যুগ্মসচিব (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান রবিবার জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনী এলাকায় চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। ভোট সামনে রেখে সবধরনের অনিয়ম-বিশৃঙ্খলা রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ডিসি-এসপি-রিটার্নিং অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে শনিবার র্যাব, পুলিশ ও আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনী এলাকায় টহল শুরু করেন। তারা থাকবেন মঙ্গলবার পর্যন্ত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে রয়েছেন নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
ভোট গ্রহণের জন্য রবিবার বিশেষ নিরাপত্তায় প্রতিটি কেন্দ্রে ব্যালট বক্স, ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী মালামাল পাঠানো হয়।
ইসি সূত্র জানায়, ১৬০টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ৪৫ জন। চেয়ারম্যান পদে মোট প্রার্থী রয়েছেন ৫০০ জন। সংরক্ষিত ওয়ার্ডে প্রার্থী রয়েছেন এক হাজার ৯৬৫ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডে প্রার্থী রয়েছেন ছয় হাজার ৩৩৩ জন।
এদিকে ৯ পৌরসভার মধ্যে কুমিল্লার লাঙ্গলকোট, নোয়াখালীর কবিরহাট ও চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র পদে তিনজন নির্বাচিত হয়েছেন। এখন মেয়র পদের লড়ছেন ২৭ জন।