একুশ-
তুমি কি আজ কেবলই একটি সংখ্যা?
ফুরোচ্ছে সময়;
হচ্ছে যে আজ তোমায় হারানোর শংকা!
তুমি কি শুধুই তরুণীর পরনের সাদা শাড়ির কালো পাড়!
কিংবা যুবকের পাঞ্জাবীতে আঁকা খেয়ালী বর্ণের বাহার!
একুশ- তুমি হারালে কোথায়?
তুমি কি আজ কেবলই গান-কবিতা আর বক্তৃতা-সেমিনার?
তুমি কি আজ বন্দী শুধুই আনুষ্ঠানিকতায়?
নইলে কেন পদে পদে আজ নিষ্পেষিত আমার ভাষা;
চেতনা কেন পাই না তব, সময় কি এসেছে হারাবার? লাঞ্চিত আমার শহীদ ভাইয়ের দান?
কেন তবে আজ বাংলার মাঝে ঠাঁই করে নেয় হিন্দি?
কুন্ঠা কেন তবে অবাধ উল্লাসে প্রকাশিতে আজ বাংলার জয়োগান! বাংলা! সে তো আজ স্বাধীন নয়; ইংরেজির জালে বন্দী। সময় এসেছে একুশ-
সে রক্ত দিয়েছে আমার ভাই, আমার বাবা;
তুমি ফিরে এসো! সংখ্যা হয়ে থেকো না আর; রক্তের ধারা হয়ে ভেসো। যে রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি আমরা ভাষা; যে রক্ত ছুঁয়ে শপথ করেছে আমার বিধবা মা,
আমার ভাষা। তাকে কোরো না অপমান।
সেই রক্তের দান-
শায়মা জাহান তিথি