আফগানিস্তানের কাবুল থেকে সেনা প্রত্যাহারের কয়েকদিন আগে ড্রোন হামলায় ১০ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু দায় স্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ড্রোন হামলায় আফগানদের মৃত্যুর ঘটনাকে ‘মর্মান্তিক ভুল’ হিসেবে উল্লেখ করে পেন্টাগন বলছে, ওই হামলায় একজন সেবকের পরিবারের নয় জন সদস্য মারা গেছেন, যাদের মধ্যে সাত জনই ছিল শিশু। সবচেয়ে ছোট শিশু সুমায়ার বয়স ছিল মাত্র দুই বছর।
খবর বিবিসি, রয়টার্স ও নিউ ইয়র্ক টাইমসের।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড ওই ঘটনায় নিহত এক ব্যক্তিকে আইএস-খোরাসানের সদস্য হিসেবে দাবি করলেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন তা নাকচ করে দিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে তিনি জানান, ওই হামলায় নিহত ব্যক্তির নাম আহমাদি। তিনি নিউট্রিশন অ্যান্ড এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন জানি, আহমাদির সঙ্গে আইএস-খোরাসানের মধ্যে কোনো যোগসূত্রই ছিল না। ওইদিন তার কার্যক্রমও আমাদের জন্য হুমকি ছিল না। আমাদের ধারণাই ভুল ছিল। আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। মারাত্মক এই ভুল থেকে আমরা শিক্ষা নেব।’
গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানে আশরাফ গনি সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে তালেবান। তালেবানের ভয়ে আফগানদের অনেকেই তখন দেশ ছেড়ে পালাচ্ছিলেন। পশ্চিমা দেশগুলো আফগানিস্তান থেকে নিজেদের দূতাবাস, সহায়তা কার্যক্রমগুলো গুটিয়ে নিতে শুরু করে। নিজেদের নাগরিকদের পাশাপাশি নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে থাকা আফগানদেরও সরিয়ে নিচ্ছিল।
গত ২৬ আগস্ট কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে দুটি আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৭৫ জন নিহত হন। এর তিনদিন পর কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে ড্রোন হামলায় এক শিশু নিহত হওয়ার খবর আসে। তবে হতাহতের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এতদিন জানা যায়নি।
পেন্টাগনকে উদ্ধৃত করে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইএসের এক আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীকে উদ্দেশ্য করেই ড্রোন হামলা করা হয়েছিল। আইএসের ওই সন্ত্রাসী কাবুল থেকে আফগানদের সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করছিল ও যেকোনো সময় মার্কিন সেনাদের ওপর আক্রমনের জন্য প্রস্তুত ছিল।
ড্রোন হামলায় সাধারণ নাগরিকদের মৃত্যুতে ভুল হিসেবে মেনে নিলেও সেবককে আইএস-খোরাসানের সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে পেন্টাগনের প্রতিবেদনে।