জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দিনাজপুরের সদর, বিরল ও বোচাগঞ্জ উপজেলায় তিনটি মসজিদে পৃথক অভিযান চালিয়ে ৬১ জনকে আটক করেছে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট দল।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করে দিনাজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকার জানান, ঢাকা থেকে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা কয়েকটি মসজিদে অভিযান চালিয়েছেন। তারা আমাদের সহযোগিতা চেয়েছিল, এই হিসেবে তাদের সহায়তার জন্য দিনাজপুর থেকে পুলিশ সদস্যদের দেওয়া হয়েছিল।
জানা গেছে, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট কাছে তথ্য ছিল, ঢাকা থেকে তাবলিগ জামাতের ছদ্মবেশেস জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনা করতে দিনাজপুর সদর উপজেলার মেদ্দাপাড়ায় বায়তুল ফালা জামে মসজিদ, বিরল উপজেলার বিরল বাজার জামে মসজিদ ও বোচাগঞ্জের আটগাঁও ইউনিয়নের বড়ুয়া গ্রাম জামে মসজিদে অবস্থান করছে। এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে দিনাজপুর পুলিশের সহযোগিতায় রাত ১২টা থেকে রাত সোয়া ২টা পর্যন্ত মসজিদ তিনটিতে অভিযান চালানো হয় এবং তাদেরকে আটক করা হয়। অভিযানে আটকদের সঙ্গে থাকা বিছানাপত্র সহ যাবতীয় মালামাল জব্দ করেছে পুলিশ। আটকের পর রাতেই তাদের দিনাজপুর পুলিশ লাইনে নেয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তাবলিগ জামায়াতের একটি দল দিনাজপুর সদর ও বিরল উপজেলায় বিভক্ত হয়ে নাশকতার পরিকল্পনা করছে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে রাতে দিনাজপুরে আসে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা। পরে তারা স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত (১৭ সেপ্টেম্বর) ১২টার দিকে ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট দিনাজপুর সদর উপজেলার মহারাজা মোড়ের পূর্ব দিকে বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদে অভিযানে ৩০ জন, বিরল উপজেলার বিরল বাজার জামে মসজিদ থেকে ১৭ জন এবং বোচাগঞ্জ উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নের বড়ুয়া গ্রাম জামে মসজিদ থেকে ১৪ জনকে আটক করা হয়। এই তিনটি উপজেলার অভিযানেই স্থানীয় পুলিশ সদস্যরা সহযোগিতা করেন।
বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদের খাদেম আব্দুর রাজ্জাক জানান, বৃহস্পতিবার ২২ জন মানুষ ঢাকা থেকে আসেন। তাদের মধ্যে ১২ জন এখানে অবস্থান করে বাকিরা অন্য মসজিদে থাকার কথা বলে চলে যান। রাতে এশার নামাজের পরে আমরা বাসায় চলে গেলে তারা এই মসজিদেই অবস্থান করছিল। পরে রাতে শুনতে পারি, পুলিশ তাদেরকে আটক করেছে।