সারা দেশের মতো বরিশালের শিক্ষার্থীরা প্রায় পৌনে দুই বছর পর স্কুলে প্রবেশ করেছে। এসময় প্রায় সকল স্কুলেই শিক্ষার্থীদের কে স্বাগত জানানো হয়। বেশ কিছু স্কুল সাজিয়ে তুলে শিক্ষার্থীদের আনন্দ দেয়া হয়।
নগরীর মাধ্যমিক স্কুলের দশম শ্রেণীর দুইটি ক্লাশ ছাড়া অষ্টম ও পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের প্রথম দিনে স্কুলে প্রবেশ করতে দেয়া হয়। নগরীরর অন্যতম প্রধান স্কুল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সকল শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানাতে গেটে দারিয়ে থাকে।
সরকারী স্কুল ছাড়াও বেসরকারী মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষার্থীদের নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে স্কুল গেট দিয়ে ঢোকানো হয়। এ ছাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকল স্কুলেই স্কুল প্রবেশ কে অভিনন্দন জানাতে দেখা যায়। শিক্ণার্থীদের স্কুল গুলিতে হাত ধোয়ানো থেকে শুরু করে মাস্ক পরিয়েই স্কুলে প্রবেশ করানো হয়।
প্রথম দিনে বরিশাল বিভাগের প্রাথমিক বিভাগে দশ লক্ষাধিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ বিদ্যালয়ে ঢুকতে পেরেছে। মাধ্যমিকেও এই হার এক তৃতীয়াংশ। স্কুল গুলিতে লাইনে দারানো ও বেঞ্চ দাগ দিয়ে চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে। অনেক দিন পরে স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীরা দারুন খুশী অভিভাবকরাও দীর্ঘদিন পরে সন্তানদের স্কুলে নিয়ে এসে দারুণ খুশী।
শিক্ষকরাও জানান শিক্ষার্থীদের স্কুল মুখী করা ও সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করাই তাদের কাছে প্রধান চ্যালেঞ্জ। সকালে গিয়ে যা দেখা গেল তখন সকাল সোয়া সাতটা, নগরীর অন্যতম বৃহৎ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেল অন্ততপক্ষে বিশ পঁচিশ জন শিক্ষার্থী স্কুলে অবস্থান করছে। কিন্তু তখন পর্যন্ত অধিকাংশ শিক্ষকরা স্কুলে এসে পৌঁছেনি।
পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জানালো, অনেকদিন পরে স্কুল আসতে পারে তার খুব ভালো লেগেছে। বন্ধুদের সাথে দেখা হবে ভেবে অনেকেরই ভালো লাগছে। পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানালেন স্কুলে আসার চিন্তায় রাতে ভাল করে ঘুমোতে পারে নি। সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের তাপমাত্রা পরীক্ষা করতে এবং হাত ধোয়ার সুবন্দোবস্ত সেখানে রয়েছে।
নগরীর জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম জানালেন প্রথম দিনে ছাত্র উপস্থিতি সত্তর ভাগ এর মত। এটি আরো বাড়বে বলে তিনি জানান। ওরা ছবি একে ছাত্র দের আনন্দ দিচ্ছে নগরীর ইংরেজি মাধ্যম স্কুল এর মধ্যে জাহানারা ইসরাঈল স্কুল সবচেয়ে বড়। এই স্কুলের বেশকিছু শিক্ষার্থী ইস্কুলে আগতদের আনন্দ দেয়ার উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে ছিল। তারা জানায় সবাইকে আনন্দ দেওয়ার জন্য তারা এই ছবি এঁকে স্কুলগেটে দাঁড়িয়ে আছে। আলিফ নামে এক শিক্ষার্থী জানায় সবাইকে আনন্দ দেওয়ার জন্য সে ছবি এঁকে স্কুল গেটে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
জুনায়েদ নামে আরেক শিক্ষার্থী জানায় তার অনলাইনে ক্লাস করতে ভালো লাগেনা স্কুলে গিয়ে ক্লাস করতে ভালো লাগে আর সেটা সে এঁকেছে। রাই নামে আরেক শিক্ষার্থী জানায় অনেকদিন পর বন্ধুদের কে পেয়ে তার খুব ভালো লাগছে। ক্লাস না থাকলেও বন্ধুদের আনন্দ দিতে ছবি এঁকে নিয়ে এসেছে কেজি ক্লাসের শুভদীপ। সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মাহবুব হোসেন জানান, শিক্ষার্থীদের পাঠদান প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে আনা এখন তাদের কাছে প্রধান চ্যালেঞ্জ