কুয়াকাট সৈকতে মাত্র ৪০ দিনের মধ্যে একটা দুইটা নয় ১৪টি ডলফিনের মৃত্যু ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সকালে সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটায় একটি মৃত ডলফিন ভেসে এসেছে। প্রতিদিনই এভাবে মৃত ডলফিনের দেহ ভেসে আসায় পরিবেশবিদরা কারন খুজে পাচ্ছেন না।
বনবিভাগ বলছে, জেলেদেও জালে আটকে ডলফিন মারা যাচ্ছে। মৎস্য বিভাগ বলছে, জলবায়ুর প্রভাবে ডলফিনের এই মৃত্যুও মিছিল। সঠিক কারন না জানায় মৃত্যুও মিছিল দিনের পর দিন দীর্ঘ হচ্ছে।
এদিকে, মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে সমুদ্রসৈকতে ১৪টি ডলফিনের মৃতদেহ ভেসে আসায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশপ্রেমীরা।
তাঁরা বলছেন, পানিতে লবণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া, পছন্দের খাবার না পাওয়া ও সর্বোপরি বার বার জাহাজ বা ট্রলার চলাচলের পথে চলে আসাই এর কারণ। জাহাজের প্রপেলারে কাটা পড়ে, কিংবা জালে আটকে মারা যাচ্ছে এসব জলজ প্রাণী।
কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির টিম লিডার রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, বৃহস্পতিবার ৬ ফুট লম্বা ইরাবতি প্রজাতির একটি মৃত ডলফিন জিরো পয়েন্টের পশ্চিম পাশে সাগরকন্যা রিসোর্টের সামনে দেখা যায়। সেটি মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা এসে মাটিচাপা দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এ বছর ২০ টি ডলফিন সৈকতে ভেসে ্মএসেছে। তার ৪টি চলতি মাসে এবং গত মাসে ১০টি সমুদ্রসৈকতে ভেসে আসে।
তিনি আরো বলেন, বেশির ভাগ মৃত ডলফিনের শরীরের আঘাতের চিহ্ন আমরা ডলফিন রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে বার বার মৃতের কারন অনুসন্ধানের জন্য আবেদন জানিয়ে আসছি। কিন্তু উদ্ধারকৃত ডলফিনগুলো মাটি চাপা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় ডলফিনকে রক্ষা করা জরুরী।
কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা সাংবাদিকদের বলেন, সৈকতে বৈসে আসা মৃত ডলফিনগুলো আমরা পরিবেশ বিপর্যয়ের কথা বিবেচনা করে মাটিচাপা দেই। কারণ এইগুলো পরীক্ষা করার দায়িত্ব প্রানী সম্পদ বিভাগের। তাদেরকে জানানোর পর প্রানী সম্পদ বিভাগের কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে এড়িয়ে যান। আমাদের কোন ল্যাব না থাকায় মৃত্যুও সঠিক কারণ জানা যাচ্ছে না।
পটুয়াখালী উপকূলীয় বন বিভাগের সহকারি বন সংরক্ষক মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, বন্যপ্রানী সংরক্ষন আইন অনুযায়ী ডলফিন হত্যায় সাজার বিধান রয়েছে। আমাদের জানামতে জেলেদের জালে আটকে গিয়ে ডলফিনগুলো মারা যাচ্ছে। এর জন্য জেলেদেরকে সচেতন করার লক্ষে পাঁচদিন ব্যাপী প্রচারনা কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় লতাচাপলি ইউনিয়নের সচেতনামূলক সভা হবে। পরের দিন কুয়াকাটা পৌরসভায় সভা হবে।