জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে আটটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এসব প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে সাত হাজার ৫৮৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
আজ মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) একনেক সভায় আট প্রকল্প অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন সেগুলো অনুমোদন দেন।
বৈঠক শেষে দুপুরে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রকল্পগুলোর বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান। এর আগে সকাল ১০টায় বৈঠক শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যুক্ত হন তিনি।
অন্যদিকে শেরেবাংলা নগরের মন্ত্রিসভা কমিটি পরিষদ (এনইসি) সম্মেলনকক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও সচিবরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বৈঠকে ৮০ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে হিলি-বুড়িমারী-বাংলাবান্ধা এলসি স্টেশনের ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এটি বাস্তবায়িত হলে আমদানি-রপ্তানি শুল্ক আদায় বৃদ্ধি করে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণ জোরদার করা হবে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে নতুন প্রকল্প ৬টি, ২টি সংশোধিত প্রকল্প।
অনুমোদিত বাকি প্রকল্পগুলো হলো পৌরসভায় পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য ১ হাজার ১৪২ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে আবাসিক ভবন নির্মাণ; ১ হাজার ১৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভূমিতে পিলার স্থাপন, তীর রক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ (২য় পর্যায়); ৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের এএসএসইটি প্রকল্প; ৪১৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে রংপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার স্থাপন; ১৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে আঞ্চলিক ডাল গবেষণা কেন্দ্র, মাদারীপুরের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বৃহত্তর বরিশাল, ফরিদপুর অঞ্চলে ডাল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ১ হাজার ২০ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে বাপাউবো সাতক্ষীরা জেলার পোল্ডার নম্বর-১৫ পুনর্বাসন প্রকল্প।
এছাড়া বাপাউবো সিরাজগঞ্জ জেলায় যমুনা নদী থেকে পুনরুদ্ধারকৃত ভূমির উন্নয়ন এবং প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চল রক্ষা (১ম সংশোধিত) প্রকল্পের ব্যয় বাড়ছে আরো ১০০ কোটি টাকার মতো।