উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট এলাকায় সরকারী জমিতে একের পর এক নির্মাণ করা হচ্ছে একের পর এক অবৈধ স্থাপনা। এমনকি সৈকতের বালুর উপর পাকা ভবন ও টং ঘরও নির্মাণ করছে তারা।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দখল এবং নির্মাণ কাজ চালিয়ে আসছে ভূমিখেকো চক্রটি। আবার কেউ কেউ এসব জমি কোটি টাকায় বিক্রিও করারও অভিযোগ রয়েছে। এর ফলে কুয়াকাটায় সরকারের গৃহীত পরিকল্পিত নগরী গড়ার প্রকল্প ভেস্তে যেতে বসেছে।
ভূমি প্রশাসন নিষেধ করার পরও এসব অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ চালিয়ে যাচ্ছে দখলদাররা। আইনী জটিলতার অজুহাতে ভূমি প্রশাসন এসব অবৈধ স্থাপনা নির্মান বন্ধ করতে পারছেনা বলে জানান স্থানীয় ভূমি প্রশাসন কর্তৃপক্ষ ।
জানা গেছে, কুয়াকাটা বেড়িবাধেঁর বাহিরে সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন এলাকায় কোন ধরনের স্থাপনা নির্মাণ কাজ করা যাবেনা মর্মে হাই কোর্র্টের নির্দেশনা রয়েছে। উচ্চ আদালতের এমন নির্দেশনার পরও সরকারি জমি দখল এবং স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলছে।
গত কয়েকদিন ধরে সৈকত সংলগ্ন এলাকায় সরদার মার্কেট কর্তৃপক্ষ, সানরাইজ হোটেল ও বামনা হোটেল কতৃপক্ষ পাকা ও আধা পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে আসছে। এসব অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজ দিনের বেলা বন্ধ করলেও দখলদাররা রাতের আধাঁরে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, বেড়িবাধেঁর বাইরের এসব সরকারি জমি গত কয়েক বছর আগেও পতিত ছিল। ভূমি অফিসের উদাসীনতার সূযোগে এসব পতিত জমিতে ভুয়া মালিকানার দাবি নিয়ে দখলদাররা গড়ে তুলেছে আবাসিক হোটেলসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এসব দখলদারদের তালিকায় বর্তমান ও সাবেক পৌর মেয়রের নামও রয়েছে।
এসব অবৈধ দখলদারদের বিষয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মহিপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা উপজেলা ভূমি প্রশাসনকে অনুরোধ জানালেও উপজেলা ভূমি প্রশাসন অদ্যাবধি কোন ব্যবস্থা নেয়নি। শুধুমাত্র মৌখিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে ভূমি প্রশাসনের কার্যক্রম
সানরাইজ হোটেল মালিক কে এম শাহজালাল এ প্রতিনিধিকে বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বিরোধীয় জমিতে ঘর নির্মাণ, সংস্কার ও ব্যবসা বানিজ্য পরিচালনা করতে পারবেন তিনি। সেখানে সরকার পক্ষ কোন প্রকার বাঁধা প্রদান করতে পারবেন না।
আদালতের এমন রায় নিয়েও স্থানীয়দের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া রয়েছে। অথচ সানরাইজ কর্ধিপক্ষ নতুন নতুন আধাপাকা ও টিনের ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রশাসনও এসব বিষয় অবগত আছেন বলে তিনি দাবি করেন।
কলাপাড়া সহকারী কমিশনার ( ভূমি ) জগৎবন্ধু মন্ডল সাংবাদিকদের জানান, সানরাইজ কর্তিপক্ষ সেমি পাকা ঘর তুলছে শুনে তহসিলদারকে পাঠিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। নতুন কোন স্থাপনা নির্মাণ করতে নিষেধ করে দিয়েছেন বলে জানান তিনি।