বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের বাসভবনে হামলার ঘটনায় আনসার সদস্যরা কতো রাউন্ড গুলি ছুড়েছিল তার হিসাব এখনো মেলেনি। তবে হিসাব মেলেনি নাকি প্রকাশে বিলম্ব করা হচ্ছে তা নিশ্চিত করে বলা দুষ্কর।
কারণ আনসার ও ভিডিপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কথা অনুযায়ী ওই রাতের ঘটনায় চটজলদি কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। যদিও বিষয়টি সমাধানের আগেই সামাজিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অঙ্গনে উত্তাপ ছড়িয়েছে। তাই গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বিষয়টি পরিষ্কার হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে ঘটনার পর নগরের কালিবাড়ি রোডের সেরনিয়াবাত ভবনের সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আনসার সদস্যদের ছোড়া গুলিতে কমপক্ষে ৬০ জন আহত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এরমধ্যে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও এক ইউপি মেম্বারের চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। তাই ছোড়া গুলির সংখ্যা যে কম নয় তাও বলা যায়।
এ বিষয়ে বরিশাল আনসার ও ভিডিপির জেলা কমান্ড্যান্ট আমমার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার পরপরই আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করি। ওই কমিটি সোমবার (২৩ আগস্ট) বিকেলের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশনা ছিল। কিন্তু কাজ শেষ করতে না পারায় কমিটি এখনো প্রতিবেদন জমা দেননি, তাদের আরো দুইদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে।
আনসার সদস্যরা কত রাউন্ড গুলি করেছে তা এখনো নিশ্চিত নন জানিয়ে তিনি আরো বলেন, বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতের ঘটনাটি ছোটখাটো কোনো ঘটনা নয়; ফলে ওই ঘটনা নিয়ে চটজলদি মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
এদিকে ঘটনার রাতে ইউএনও মুনিবুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তিনি আনসার সদস্যদের গুলির নির্দেশ দেননি, তবে বাসার সামনে তাকে যখন ঘিরে ধরা হয়েছিল, তখন তাকে সেভ করার জন্য আনসার সদস্যরা তাদের করণীয় করেছিল।
যদিও আনসার সদস্যরা কার নির্দেশে গুলি ছুড়েছিল এ বিষয়ে স্পষ্ট হতে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন জেলা আনসার ও ভিডিপির কমান্ড্যান্ট।
প্রসঙ্গত, বুধবার (১৮ আগস্ট) বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ কম্পাউন্ডে ব্যানার অপসারণে যায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারীরা। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তারা সেখানে গেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পক্ষ থেকে ব্যানার অপসারণে নিষেধ করা হয়। এ নিয়ে গুলি বর্ষণ, আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। পরে উভয় পক্ষের মামলা হয়ে বিষয়টি সমাধানের দিকেও গেছে।