বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮০তম প্রয়ান দিবস স্মরণে চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র (সিএইচআরসি) আয়োজনে ভার্চুয়ালে আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে।
আজ বাইশে শ্রাবণ (৬ আগস্ট ২০২১) শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় ‘কবি প্রণাম’ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, আজ হতে ১১৪ বছর পূর্বে (১৯০৭ সালের ১৭-১৮ জুন) বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চট্টগ্রাম আগমন করেন। বিশ্বকবি রবি ঠাকুরের চট্টগ্রাম আগমনের স্মৃতিকে ধরে রাখার আহবান জানানো হয়। চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি সোহেল মো. ফখরুদ-দীনের সঞ্চালনায় ও সভাপতিত্বে এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ভারতের আগরতলার প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. আশিস কুমার বৈদ্য, চট্টগ্রামের প্রবীন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক জিতেন্দ্র লাল বড়ুয়া, কলিকাতার বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক তারকনাথ দত্ত, পশ্চিমবঙ্গের তরুন ইতিহাস গবেষক, মানবতাবাদী ও কবি লিটন রাকিব, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেছেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চট্টগ্রাম আগমনের এই ইতিহাসটি আমাদের জন্য মহা গৌরবের। এই স্মৃতি সংরক্ষণ করে বর্তমান প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চট্টগ্রাম আগমনের স্মৃতি ধরে রাখা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন রেলস্টেশন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বহন করে। এই স্টেশনের পদপ্রান্তে দাঁড়িয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চট্টগ্রামবাসীর অভিবাদন গ্রহণ করেছেন। আর এই স্টেশন থেকে বিদায় নিয়েছেন। তিনি কর্ণফুলী নদী অবলোকন করেছেন। সে সময়ে তৎকালীন লায়ন সিনেমা হলে কবিকে নাগরিক সংবর্ধনা প্রদান করে হয়েছিল। এগুলো আজ ইতিহাস। বর্তমান প্রজন্মের অনেকে এই ইতিহাস জানলেও রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক অসচেতনতার কারণে এই স্মৃতি মানুষের কাছে উদ্ভাসিত নয়। বক্তারা চট্টগ্রামের প্রাচীন রেলস্টেশন চত্বরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিকে ধরে রাখতে স্টেশন চত্বরে সরকারী উদ্যোগে রবীন্দ্র ভাস্কর্য নির্মাণের দাবি জানান। এছাড়া যে যে স্থানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভ্রমণ করেছেন সেই ভ্রমণকৃত জায়গায় একটি করে স্মারকস্তম্ভ নির্মাণের মাধ্যমে স্মরণীয় করে রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও সাংস্কৃতিক ও পর্যটন মন্ত্রীর আশু হস্তপে কামনা করেছেন।