গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে পরিচালক চয়নিকা চৌধুরীকে।
শুক্রবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর পান্থপথে গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা চয়নিকা চৌধুরীর গাড়িকে ইশারা করে থামতে বলেন। একপর্যায়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ সদস্যরা চয়নিকা চৌধুরীর গাড়িতে ওঠেন। এ সময় গাড়িটি দ্রুতগতিতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে অনুষ্ঠানে শেষে করে সন্ধ্যায় বাসায় ফেরার পথে গোয়েন্দা পুলিশের তল্লাশির মুখে পড়েন পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী। পরবর্তীতে তার গাড়িতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য ওঠেন এবং ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
পুলিশ সদস্যরা চয়নিকা চৌধুরীকে মিন্টু রোড ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। এর আগে পুলিশ সদস্যরা তার সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি প্রথমে গাড়ির গ্লাস খুলতে রাজি হননি। পরে দরজা খুলে পুলিশ সদস্যরা চয়নিকা চৌধুরীর গাড়িতে ওঠেন।
এই নাট্টকার ও চলচিত্র পরিচালকে নিজের ‘মম’ বলে সম্বোধন করেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। বিভিন্ন সময় তাদের দুজনকে একসঙ্গে দেখা যায়। পরীমণির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সবসময় পাশে ছিলেন এই নির্মাতা। বিশেষ করে গত মাসে ঢাকার সাভারে উত্তরা বোটক্লাব কাণ্ডে সর্বদা পাশে থেকে পরীমণিকে সাহস জুগিয়েছিলেন চয়নিকা।
ঢাকা বোর্ড ক্লাবের ঘটনায় পরীমণি চয়নিকাকে কাছে পেলেও পরীমণির বাসায় যখন র্যাব অভিযান চালায় তখন চয়নিকাকে দেখা যায়নি। পরীমণি আটকের খবরটি গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ার প্রকাশ হলেও তখনও নাট্যনির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীও উধাও ছিলেন। এবার বিপদে কথিত মেয়ের কাঁধে হাত রেখে সান্ত্বনা দিতে দেখা যায়নি চয়নিকা চৌধুরী।