বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনায় চৌদ্দ ও উপসর্গ নিয়ে চৌদ্দজন মারা গেছেন।
একই সময়ে সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৬২৪ জন।
শুক্রবার (০৬ আগস্ট) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে চৌদ্দজন এবং করোনা ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরো বারোজনের মৃত্যু হয়েছে।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া চৌদ্দজনের মধ্যে বরিশালে পাঁচজন,পটুয়াখালীতে চারজন,ভোলায় চারজন ও ঝালকাঠিতে একজন রয়েছেন। সব মিলিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২৮ জনে।
একই সময় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬২৪ জন। এ নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজার ৬২২ জনে। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ হাজার ৪৮৯ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল জেলায় নতুন ২০৩ জন নিয়ে মোট ১৫ হাজার ৫৩৫ জন, পটুয়াখালীতে নতুন ১২৭ জন নিয়ে মোট ৫ হাজার ১৩১ জন, ভোলায় নতুন ১৫৬ জনসহ মোট ৪ হাজার ৭৩৪ জন, পিরোজপুরে নতুন ৪৪ জনসহ মোট ৪ হাজার ৬৮২ জন, বরগুনায় নতুন ৪৯ জন নিয়ে মোট ৩ হাজার ২৪৯ জন ও ঝালকাঠিতে নতুন ৪৫ জন নিয়ে মোট ৪ হাজার ২৮২ জন রয়েছেন।
এদিকে, শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে চৌদ্দজনের এবং করোনা ওয়ার্ডে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে শুধু শেবাচিম হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডেই উপসর্গ নিয়ে ৮৪৫ জন এবং করোনা ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ৮৪৫ জনের মধ্যে ৯১ জনের কোভিড টেস্টের রিপোর্ট এখনও হাতে পাওয়া যায়নি।
ওই হাসপাতাল পরিচালক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার) সকাল পর্যন্ত শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ২৭ জন ও করোনা ওয়ার্ডে ৯ জন ভর্তি হয়েছেন। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ২৮০ জন চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে ৯৬ জন করোনা ওয়ার্ডে এবং ১৯৫ জন আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১৮৯ জন করোনা পরীক্ষা করান। এর মধ্যে ৪২ শতাংশ পজিটিভ শনাক্তের হার।