কন্যাদেহ
ময়ূরাক্ষীর তীর ধরে হাঁটছিলাম
আকাশে ডুবন্ত সূর্যের আলো
আকাশ মাটির ভেদরেখা মুছে দিল
তোমার পাঞ্জাবীর গেরুয়া লাল ।
হাতে তোমার হাত
শরীরে মহুয়া মদের দোলা
রাই হবো আমি –
ময়ূরাক্ষীর বুকে হবো তোমার !
এক আর্ত ধ্বনি
আকাশ বাতাস নদী সাগর অন্তরীক্ষে ।
স্তব্ধ প্রতিধ্বনি
একটি ধর্ষিত কন্যাদেহ পৃথিবীর মাতৃবক্ষে।
বর্গক্ষেত্র
আমার হাজার স্কোয়ার ফিটের শিশ্ মহলে
নেই একটাও ঘুলঘুলি
নেই কোন কাকের বাসা
তিতকুটে ময়লা ধুলো –
আমরা তিনজনেই ফিটফাট মাপসই ।
রোজ রাতে অমল চুমু খায়
ডিজিটাল ঘড়িটাও ঠিকঠাক চলে –
আমাদের এখানে কোকিল ডাকে না
ডিমও পাড়ে না ।
বুবুন আর টেডি বিয়ারের বন্ধু বন্ধু খেলা
ওর কম্পিউটার গেমে যুদ্ধের মহড়া !
ঠোঁট
তুমি আমি বসে আছি মুখোমুখি
চোখে চোখ,হাতে হাত
আমার ঠোঁটের অনুভবে
এখন ঈষৎ বাদামি ঠোঁটের বিদ্যুৎ!
তুমি আমি বসে আছি মুখোমুখি
চোখে চোখ,হাতে হাত
সাগর-মোহনায় ঝড় ওঠে
বালুকনা জমা হয় দুটি ঠোঁটের ব্যবধানে।
জুঁইফুলের মালা
ওই উদ্ধত বুকের ভেতর নীড় বাঁধবো বলে
মেলেছি দুটি ডানা
ঝড় আসে বার বার
ডানা কেঁপে ওঠে –
তবুও বার বার
খুঁজেছি একটু আশ্রয় –
স্নিগ্ধ জুঁইফুলের একটি মালা
দূরে–কাছে
আমার শাড়ির ভাঁজে
গহন রাত্রি নামে
তুমি ঘুমোও দূরে
কৃষ্ণা নদীর ওধারে ।
দূরত্বের এতটুকু আঁচ লাগে না মনে
রক্তকনিকার অন্তরে তোলপাড়
তুমি ঘুমোও যেন কাছে ।
দহনে
সেই নিবেদনের ভঙ্গী থেকে একটা স্বপ্ন জন্ম নেয়
সেই চোখের জাদুতে ঢাকা পড়ে গেছে অমাবস্যার উদ্ভাস
আজও স্মৃতির প্রকোষ্ঠে ধুনি জ্বলে
শরীরের মাধবীকুঞ্জে উষ্ণ জোয়ার জাগায় ।
শীত আসে, রোজই দহন
এক নিঃসঙ্গ উন্মাদনায় –
সেই নিবেদনের ভঙ্গী থেকে আবার একটা স্বপ্ন জন্ম নেয়
দহনে সূর্যমুখীর