কুয়ো খুঁড়তে গিয়ে মিলল ৫০০ কিলোর নীলা, দাম প্রায় ৭৫ কোটি টাকা

সিদ্ধার্থ সিংহ
সিদ্ধার্থ সিংহ
2 মিনিটে পড়ুন
ছবি: সংগৃহীত

বাড়িতে জলের তেমন জোগান চাই। তাই লোকলস্কর নিয়ে চলছিল কুয়ো খোঁড়ার কাজ। কিছুটা খুঁড়তেই পাথরের মতো শক্ত বিশাল একটা চাঁইতে শাবলের বাড়ি পড়তেই আটকে গেল খোদাইয়ের কাজ।

খুব সন্তর্পনে চারপাশ থেকে আস্তে আস্তে মাটি সরিয়ে সেটা তুলতেই দেখা গেল একটা বিশালাকার পাথর। তার পর অতি কষ্টে সেটা উপরে তুলে জল দিয়ে ধুতেই বোঝা গেল, ওটা যে সে পাথর নয়।

বুঝতে পারলেন ওই বাড়ির মালিকই। কারণ তিনি নিজেই একজন রত্ন ব্যবসায়ী। তাই ওটা দেখেই তাঁর বুঝতে বাকি রইল না ওটা কত মূল্যবান। তিনি বুঝতে পারলেন, কুয়ো খুঁড়তে গিয়ে তিনি এমন একটা নীলা পেয়েছেন যা চমকে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।

শ্রীলঙ্কার রতনপুরের নামই রত্ন। কারণ খুঁড়লেই ওখানকার মাটির নীচে প্রায়ই রত্ন পাওয়া যায়। এই ঘটনাটি সেই রতনপুরেরই।

- বিজ্ঞাপন -

পরে মাপজোঁক করে দেখা যায়, ওই বিশালাকার নীলার ওজন প্রায় ৫১০ কিলো। আন্তর্জাতিক বাজারে যার দাম আনুমানিক প্রায় ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। মানে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭৫ কোটি টাকা।

এই নীলাটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রশাসনের কাছে খবর দেন বাড়ির মালিক। তিনি বলেন, এখনই এই পাথর ব্যবহারের উপযোগী না। ফলে বাজারে বিক্রিও করা যাবে না।

তার আগে এটা সঠিক পদ্ধতিতে পরিষ্কার করে দক্ষ কারিগরকে দিয়ে কাটিং করাতে হবে। তার পর সেটা যাচাই করে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। তবেই তা বাজারে বিক্রি করার জন্য উপযোগী হয়ে উঠবে।

আপাতত রত্ন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটিই বিশ্বের বৃহত্তম নীলা। এর নাম রাখা হয়েছে— Serendipity শাপ্পহিরে, ইতিমধ্যেই পৃথিবীর বিভিন্ন রত্ন সংক্রান্ত পত্র পত্রিকায় ফলাও করে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

বিষয়:
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
২০২০ সালে 'সাহিত্য সম্রাট' উপাধিতে সম্মানিত এবং ২০১২ সালে 'বঙ্গ শিরোমণি' সম্মানে ভূষিত সিদ্ধার্থ সিংহের জন্ম কলকাতায়। আনন্দবাজার পত্রিকার পশ্চিমবঙ্গ শিশু সাহিত্য সংসদ পুরস্কার, স্বর্ণকলম পুরস্কার, সময়ের শব্দ আন্তরিক কলম, শান্তিরত্ন পুরস্কার, কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত পুরস্কার, কাঞ্চন সাহিত্য পুরস্কার, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা লোক সাহিত্য পুরস্কার, প্রসাদ পুরস্কার, সামসুল হক পুরস্কার, সুচিত্রা ভট্টাচার্য স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার, অণু সাহিত্য পুরস্কার, কাস্তেকবি দিনেশ দাস স্মৃতি পুরস্কার, শিলালিপি সাহিত্য পুরস্কার, চেখ সাহিত্য পুরস্কার, মায়া সেন স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার ছাড়াও ছোট-বড় অজস্র পুরস্কার ও সম্মাননা। পেয়েছেন ১৪০৬ সালের 'শ্রেষ্ঠ কবি' এবং ১৪১৮ সালের 'শ্রেষ্ঠ গল্পকার'-এর শিরোপা সহ অসংখ্য পুরস্কার। এছাড়াও আনন্দ পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত তাঁর 'পঞ্চাশটি গল্প' গ্রন্থটির জন্য তাঁর নাম সম্প্রতি 'সৃজনী ভারত সাহিত্য পুরস্কার' প্রাপক হিসেবে ঘোষিত হয়েছে।
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!