বাড়িতে জলের তেমন জোগান চাই। তাই লোকলস্কর নিয়ে চলছিল কুয়ো খোঁড়ার কাজ। কিছুটা খুঁড়তেই পাথরের মতো শক্ত বিশাল একটা চাঁইতে শাবলের বাড়ি পড়তেই আটকে গেল খোদাইয়ের কাজ।
খুব সন্তর্পনে চারপাশ থেকে আস্তে আস্তে মাটি সরিয়ে সেটা তুলতেই দেখা গেল একটা বিশালাকার পাথর। তার পর অতি কষ্টে সেটা উপরে তুলে জল দিয়ে ধুতেই বোঝা গেল, ওটা যে সে পাথর নয়।
বুঝতে পারলেন ওই বাড়ির মালিকই। কারণ তিনি নিজেই একজন রত্ন ব্যবসায়ী। তাই ওটা দেখেই তাঁর বুঝতে বাকি রইল না ওটা কত মূল্যবান। তিনি বুঝতে পারলেন, কুয়ো খুঁড়তে গিয়ে তিনি এমন একটা নীলা পেয়েছেন যা চমকে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।
শ্রীলঙ্কার রতনপুরের নামই রত্ন। কারণ খুঁড়লেই ওখানকার মাটির নীচে প্রায়ই রত্ন পাওয়া যায়। এই ঘটনাটি সেই রতনপুরেরই।
পরে মাপজোঁক করে দেখা যায়, ওই বিশালাকার নীলার ওজন প্রায় ৫১০ কিলো। আন্তর্জাতিক বাজারে যার দাম আনুমানিক প্রায় ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। মানে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭৫ কোটি টাকা।
এই নীলাটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রশাসনের কাছে খবর দেন বাড়ির মালিক। তিনি বলেন, এখনই এই পাথর ব্যবহারের উপযোগী না। ফলে বাজারে বিক্রিও করা যাবে না।
তার আগে এটা সঠিক পদ্ধতিতে পরিষ্কার করে দক্ষ কারিগরকে দিয়ে কাটিং করাতে হবে। তার পর সেটা যাচাই করে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। তবেই তা বাজারে বিক্রি করার জন্য উপযোগী হয়ে উঠবে।
আপাতত রত্ন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটিই বিশ্বের বৃহত্তম নীলা। এর নাম রাখা হয়েছে— Serendipity শাপ্পহিরে, ইতিমধ্যেই পৃথিবীর বিভিন্ন রত্ন সংক্রান্ত পত্র পত্রিকায় ফলাও করে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে।