শাহজাদপুরে মিম-ঐশি পরিবহন মালিক শাহিদুল ইসলাম মুক্তা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের, নানা অপপ্রচার ও সিরাজগঞ্জ জেলা মটর মালিক সমিতি, শাহজাদপুর শাখার সদস্যপদ বাতিলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
গতকাল রোববার দুপুর ১২টায় স্থানীয় বিসিক বাসস্ট্যান্ডের মিম-ঐশি কাউন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শাহিদুল ইসলাম মুক্তা জানান, প্রায় ২৫ বছর ধরে তিনি সুনামের সাথে পরিবহন ব্যবসায়ী হিসেবে যাত্রী সেবা দিয়ে আসছি এবং ১২ বছর ধরে সিরাজগঞ্জ জেলা মটর মালিক সমিতি, শাহজাদপুর শাখার কার্যকরী সদস্য হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, প্রায় ২৫ বছর ধরে শাহজাদপুর ট্রাভেলস্ এর মালিক নানা কৌশলে বিসিক বাসস্ট্যান্ডে টিকিট কাউন্টার বসিয়ে যাত্রী সাধারণকে জিম্মি করে এককভাবে ব্যবসা করে আসছে। শুধু তাই নয়, শাহজাদপুর ট্রাভেলস্ এর মালিক তার ইচ্ছামতো ব্যবসা করার জন্য শাহজাদপুর হয়ে ঢাকাগামী অন্য কোন পরিবহনের টিকিট কাউন্টার খুলতে দেয়না এবং কোন পরিবহনকে বিসিক বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়াতেও দেয় না। এর ফলে ঢাকাগামী যাত্রীরা প্রতিনিয়তই নানাভাবে হয়রানির শিকারসহ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এর প্রতিবাদ করায় শাহজাদপুর ট্রাভেলস্ এর মালিক হাসিব খান তরুন আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়। সম্প্রতি বিসিক বাসস্ট্যান্ডে আমার একটি রুমে জেনিন পরিবহনের টিকিট কাউন্টার চালু করা হলে সিরাজগঞ্জ জেলা মটর মালিক সমিতি, শাহজাদপুর এর সাধারণ সম্পাদক ও শাহজাদপুর ট্রাভেলস্ এর মালিক হাসিব খান তরুন ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মালিক সমিতির অফিসের কেরানী লিয়াকত হোসেনকে বাদি করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করান। শুধু তাই নয় হাসিব খান তরুন মটর মালিক সমিতির সভাপতি ও স্থানীয় এমপি আলহাজ্ব হাসিবুর রহমান স্বপনকে ভুল বুঝিয়ে আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে সমিতির সদস্যপদ থেকে বহিস্কার করেন।
এছাড়াও হাসিব খান তরুণ গত শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করে আমার বিরুদ্ধে নানা আপত্তিকর, মানহানিকর ও মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে সামাজিক ও ব্যবসায়ীকভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শাহিদুল ইসলাম মুক্তা তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সমিতির সদস্যপদ পুনর্বহালের দাবি জানান।