ভারতের রাজস্থানের সবচেয়ে সম্মানজনক চাকরি রাজস্থান প্রশাসনিক সার্ভিস (আরএএস) সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করলেন আশা কান্দারা (৪০) নামের এক নারী। এর আগে তিনি রাজস্থানের যোধপুর পৌরসভার ঝাড়ুদার পেশায় কর্মরত ছিলেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের মাত্র পাঁচ বছরের মাথায় স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় তার। এরপরে দীর্ঘ আট বছর দুই সন্তানকে বড় করে তোলার পাশাপাশি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার মানসে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হন। স্বামীর সাথে বিচ্ছেদের পর নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আশা। ২০১৬ সালে স্নাতক পাশ করেন তিনি।
বিচ্ছেদের পর বাবার বাড়িতে চলে এসেছিলেন আশা। তার বাবা ছিলেন যোধপুর পৌরসভার কর্মী। আশা সব সময় অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। স্বপ্ন দেখতেন সন্তানদের নিজের উপর্জনে গড়ে তোলার।
২০১৮ সালে যোধপুর পৌরসভার ‘পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মী’ পদে পরীক্ষা দেন তিনি। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যোগ দেন ঝাড়ুদার হিসেবে। এ কাজের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আরএএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে থাকেন তিনি। ২০১৮ সালেই আরএএস পরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হন আশা। ২০২১ সালের ১৩ জুলাই চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তিনি। খুব শীঘ্রই তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মস্থলে যোগদান করতে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে গণমাধ্যমকে আশা জানিয়েছেন, আমাকে বিয়ে ভেঙে যাওয়া থেকে শুরু করে বর্ণ বৈষম্য, লিঙ্গ বৈষম্যসহ অনেক কিছুর মুখোমুখি হতে হয়েছে। তবে আমি কখনো নিজেকে দুঃখের সাগরে ভেসে যেতে দিইনি বরং লড়াইটা চালিয়ে গেছি।
এদিকে অভাবনীয় এই সাফল্যে সবার প্রশংসায় ভাসছেন আশা। ইতোমধ্যে যোধপুর পৌরসভার মেয়রসহ কর্মকর্তারা তাদের এক সময়ের এই কর্মীকে সম্মাননা দিয়েছেন।