পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে ছেলে চলে যাওয়ার ৯ দিনের মাথায় মাহিনুর (৫০) নামের সেই নারীর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মরদেহ নিতে অস্বীকৃতি জানায় তার পরিবার । পরে দুজন স্বেচ্ছাসেবক তার দাফন করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৫ জুলাই সকালে মাহিনুরকে কলাপাড়া হাসপাতালে রেখে কাউকে কিছু না বলে সটকে পড়েন ছেলে ইব্রাহিম(১৬)। সকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামলেও রোগীর পাশে কাউকে না দেখতে পেয়ে হাসপাতালের আয়ারা স্থানীয় মিন্টু নামের এক স্বেচ্ছাসেবককে বিষয়টি জানান। পাঁচদিন পর ৯ জুলাই মিন্টু ও কুয়াকাটা জন্মভূমি ক্লাবের সভাপতি কেএম বাচ্চু ওই নারীর ছোট ছেলে ইব্রাহিমকে (১৬) খুঁজে পান। কিন্তু এরপরও হাসপাতালে সে আসেনি। পরে মাহিনুরের সব চিকিৎসার দায়িত্ব নেন মিন্টু ও বাচ্চু। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নারী মারা যান।
মিন্টু বলেন, ‘মৃত্যুর পর তার দুই ছেলে ও মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু তারা মরদেহ নিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে আমরা নিজেরাই মরদেহ দাফনের সিদ্ধান্ত নেই।’ মাহিনুর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের আলীপুর বাজারে সংলগ্ন মৃত্যু আ. অলিউল্লাহর স্ত্রী।
১৫ বছর আগে স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে মারা যান অলিউল্লাহ। বড় ছেলে স্ত্রীকে নিয়ে চট্টগ্রামে ও মেয়ে স্বামীর বাড়িতে থাকে তারা কেউ মায়ের খোঁজ রাখেনি। কুয়াকাটা জন্মভূমি ক্লাবের সভাপতি কেএম বাচ্চু বলেন, ‘আমরা তার মৃত্যুর পর মরদেহ পরিবারের কাছে পৌঁছে দিতে চেয়েছি। লতাচাপলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনসার উদ্দিন মোল্লার মাধ্যমেও একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু তার ভাই, বোন ও ছেলে-মেয়ে কেউ মরদেহ নিতে চাননি। পরে আমরা নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে তাঁকে গোসল করানো এবং রাতেই কলাপাড়া পৌরসভার কবরস্থানে দাফন করার ব্যবস্থা করেছি।’