নাটোর সদর হাসপাতাল এবং নাটোর জেলার বিভিন্নস্থানে করোনা ও করোনা উপসর্গ নিয়ে অন্তত ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়া করোনা ও করোনা উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নাটোরের ৬ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার অন্তত ১৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
গত ২৪ ঘন্টায় নাটোরে করোনাসহ উপসর্গে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৫ জন । ৩৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সংক্রমনের হার গতদিনের তুলনায় ৫.২৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩৩.৮৩ শতাংশ।
জেলায় মোট মৃত্যু ৭৪ জন। মোট আক্রান্ত ৫০২৮ জন। করোনা ও উপসর্গ নিয়ে সদর হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১০৬ জন। হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ২৬৬৩ জন।
এ বিষয়ে স্থানীয় সংবাদদাতা ও নিজস্ব সংবাদদাতা তথ্যের উপর নির্ভর করে নিউজটি সাজানো।
তবে স্বাস্থ্য বিভাগ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এদিকে তথ্যটি জানবার জন্য বারবার নাটোর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক কে ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
একটি সূত্র জানায়, নাটোরে অসুস্থ হবার পরে অক্সিজেন স্বল্পতায় সংকট মোকাবেলায় জেলা পুলিশের কাছ থেকে অক্সিজেন নিয়েও যে সমস্ত রোগী মৃত্যুবরণ করেছে তাদের তালিকা ও স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে নেই।
অনেকেরই নমুনা পরীক্ষা হয়নি। এমত অবস্থায় নমুনা পরীক্ষা জোরদার করার ওপর দাবি জানান নাটোরের সচেতন মহল।
এদিকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, বেলা এগারটার আগে তাদের তালিকা প্রস্তুত হবে না।
তাদের তালিকা প্রস্তুত হওয়ার পরে তারা সঠিক করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতদের তথ্য দিতে পারবেন। তবে তিনি জানান করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃতদের ব্যাপারে কোন তালিকা তারা প্রস্তুত করেন না।
স্বাস্থ্যবিভাগের নানা অনিয়ম ও অসহযোগিতা নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের অনেকেই জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এমনকি জেলা প্রশাসন ও সাংবাদিকদের সঙ্গে যে গ্রুপ রয়েছে সে গ্রুপেও তারা এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তারা এ সময় নাটোরের জেলা প্রশাসক মো. শামীম আহমেদেকে স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করার অনুরোধ জানান।
এদিকে এক গোপন সংবাদে জানা গেছে স্বাস্থ্য বিভাগের কোন এক কর্মকর্তার পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের কে আইসিটি ও ডিজিটাল আইনে মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করা হয়েছে। তবে নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।