তীব্র কণ্ঠে বলি
চোখের নীচে গভীর কালো ক্লান্তি
সেই হাত আজ স্বর্গপুরে
যার স্পর্শে আমি হারিয়ে যেতাম
ব্যর্থ প্রেমিকের মতো আমার চিবুকের রেখা
হাত বাড়িয়ে রেখেছি লেখা নেই
মাইল মাইল শূন্যতা রেখে দিলাম
অঝোর ধারায় বৃষ্টি নামে হৃদয়ের আকাশে
জলের প্রবাহে তেজী স্রোত
হৃদয়ে প্রশান্তের ছোঁয়া
আধো আলো আধো ছায়ার মতন
কান্ডহীন গাছের পল্লবিত মাথা
করছে আমায় রোদ
আমার সকল স্বপ্ন বিলীন হয়ে যাবে হৃদয়ের রক্তক্ষরণে
অভিমানের অশরীরী হওয়ায়
মেঘগুলো সব ঝরে পড়ে
ভিজিয়ে দেয় শুকনো হৃদয়
কান্নার মতো আশা যাওয়ায়।।
কোকিয়ে ওঠা
পাথর ভেঙ্গে যাচ্ছে নিরন্তর
তবু জল কই নোনা জলের প্লাবন
বিচ্ছিন্ন সমতল
ভেসে যায় ঊর্ধ্বমুখী চাওয়া
ভেসে যায় বই
প্রার্থনার ভেতর বয়ে যায় রক্ত
গোপন থাকে সমস্ত রেখা
পাথরে পাথর ভাঙে
ভেঙ্গে যায় সমস্ত মন্ত্র শেখা।।
নদী
আমি এঁকেছি নদীটিকে
দেখেছি বুকের ভেতর আছড়ে পড়ছে দাপুটে নদী
তুমি তাকিও থাকো অর্বাচীন শিশুর মতন
চৌকাঠ থেকে দূরত্বে আয়না দেখা যায় যদি
নদী রূপসী হয়েছে, ঘর থেকে বার
তার অবাধ যাতায়াত
তুমি জানো নি কে কাকে ঘিরে ধরে
কাকে উড়িয়ে দেয় অমোঘ বিশ্বাস।।
নক্ষত্র পুড়ে যাচ্ছে
তুমি পাতার ভেতর একটা নক্ষত্র পুড়ে যাচ্ছে রোজ
ঠাঠা দুপুর খুঁজছে একটা শীতল সন্ধ্যা
ব্যার্থ প্রেমের চিঠিটা ই নয় হোক
গোলাপী চিঠি খুঁজে নেয় কাঁপন বাঁশির মুখ
বাতাসের বুক চিরে উড়ে যায় রংধনু
উড়ে যায় সোনালী আলোর সুখ
কত ব্যর্থ প্রেম মনে রেখেছিল চোখ
নদীকে বাঁধতে চেয়েছিল পুরনো প্রেমের শোক
ঘুম মন্ত্রের পাশে চৌকাঠ ছুঁয়ে ছিল গান
আনন্দ আঙুল অসাড় হয়েছে,
অসাড় হয়েছে প্রাণ।।
কিছু দাগ নিয়ে
জানি না তোমাকে পেছন থেকে ডাক দিয়ে যায় কিনা আমি নামের অস্তরাগ
আমি তো শানিয়ে নিয়েছি নিজেকে সেই অস্তরাগে
নিবিড় আচ্ছাদনে ঢাকা দিয়ে রাখি সূর্যের মুখ
আজ ও তবু তোমাকেই চাঁদ ভাবি
ভাবতে ভাবতে গড়িয়ে যাচ্ছি কিছু দাগ নিয়ে।।
পিপাসা
আমার পিপাসাটুকু রেখে গেছি তোমার ঘরে
তুমি ও তাকে রেখেছে ঢাকনা আটকে
তার সামনে বসো তুমি রোজ গালে হাত দিয়ে
তাকিয়ে থাকো দিনের পর দিন আমার পিপাসার দিকে,
আমার দূরে চলে যাওয়া তোমার নজর এড়িয়ে।।