বরিশালে লকডাউনের ৮ম দিনে লঞ্চ-বাস, থ্রি হুইলার এবং কিছু দোকান বন্ধ থাকা ছাড়া প্রায় সব কিছুই স্বাভাবিক হয়ে গেছে। রাস্তাঘাটে মানুষ এবং রিক্সা, মোটরসাইকেল, ব্যক্তিগত যান এবং পণ্যবাহী যান চলাচল আগের চেয়ে বেড়েছে।
সকালের দিকে মানুষ এবং যানবাহনের চাপে নগরীর সদর রোড এবং সাগরদী এলাকায় ক্ষনে ক্ষনে সৃস্টি হয় যানজটের।
বরিশাল নগরীর পোর্ট রোড মাছের আড়ত, বাজার রোডসহ নগরীর অন্যান্য বাজারগুলোতে সকালের দিকে প্রচুর ভীড় ছিলো। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাজারগুলো ফাঁকা হয়ে যায়। মুদি, কনফেকশনারী এবং ওষুধের দোকান ছাড়াও নগরীতে অন্যান্য ধরনের অনেক দোকানপাট খুলেছে।
এদিকে লকডাউন এবং স্বাস্থ্য বিধি বাস্তবায়নে বৃহস্পতিবার ৮ম দিনে বিনা প্রয়োজনে রাস্তায় বের হওয়া মানুষকে আটক করে জরিমানা করা শুরু করেছে ভ্রাম্যমান আদালত এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
নগরীতে পৃথক ৩টি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। অপরদিকে মেট্রো পুলিশ নগরীর প্রবেশপথ সহ গুরুত্বপূর্ণ ২০টি স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন করে মানুষের অবাধ চলাচল নিয়ন্ত্রন করছে।
এছাড়াও পুলিশ, র্যাব, সেনা বাহিনী এবং বিজিবি নগরীতে কড়া টহল দিচ্ছে। অপ্রয়োজনে কেউ রাস্তায় বের হলে তাকেই আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে সোপর্দ করছে আইন শঙ্খলা বাহিনী।
দুপুর পর্যন্ত মোট ১৯ জনকে আটক করে ডিটেনশন খাটিয়ে ১৬ হাজার ৫শ’ টাকা জরিমানা আদায় করে ছেড়ে দিয়েছে পৃথক ভ্রাম্যমান আদালত।
লকডাইনের অষ্টম দিনে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৩ টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ৯ ব্যক্তিকে আটক করা হয় এবং ২৫ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পৃথক মামলায় ১৯ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
নগরীর সদর রোড, চক বাজার রোডে স্বাস্থ্য বিধি অমান্য করে বিনা কারনে বাইরে ঘোরাঘুরি ও মাস্ক না পরার অপরাধে ৯ জনকে আটক করা হয়।
এ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসকের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ দস্তেগীর।
পোর্ট রোড, বান্দ রোড, মেডিকেল মোড়সহ অন্যান্য এলাকায় অভিযান ১ ব্যক্তি ও ১০ প্রতিষ্ঠানকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিশাত ফারাবি।
এদিকে আমতলার মোড়, বাংলা বাজার, রুপাতলী এলাকায় স্বাস্থ্য বিধি অমান্য করার অপরাধে ৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৮৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রয়া ত্রিপুরা।
অভিযানে ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে ছিলেন বরিশাল মেট্টোপলিটন পুলিশের একটি টিম ও স্কাউটের সদস্যরা সহযোগীতা করেন।
জনস্বার্থে জেলা প্রশাসনের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সহকারী কমিশনার সুব্রত বিশ্বাস দাস।