কেরালার যে ছোট্ট গরুটি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান করে নিয়েছে, তার চেয়েও আকারে ছোট এবং ওজনেও কম একটি গরুর সন্ধান মিলেছে ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায়।
তাই ওই গরুটির মালিক গিনেস বুকে স্থান পাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই আবেদন করে ফেলেছেন।
গিনেস বুকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত বিশ্বে সব চেয়ে ছোট গরুটি রয়েছে ভারতের কেরালা রাজ্যে। চার বছর বয়সী ওই গরুটি উচ্চতায় ২৪ ইঞ্চি আর ওজন চল্লিশ কিলো।
বাংলাদেশের সাভার আশুলিয়ার চারিগ্রাম গ্রামে পাওয়া গেছে যে গরুটি, তার ওজন এর চেয়েও কম এবং উচ্চতাতেও খাটো। বক্সার ভুট্টি জাতের এই খর্বাকৃতির গরুটির বয়স এখন দু’বছর।
এই গরুটির মালিক যে প্রতিষ্ঠানটি, তার নাম— শিকড় এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। তাঁরা এই গরুটির নাম দিয়েছে রানি।
শিকড় এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান বলেন, ২ জুলাই আমরা গিনেজ বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি। তাঁরা আমাদের একটা রিপ্লাইও দিয়েছেন।
তাঁদের কিছু নিজস্ব প্রক্রিয়া আছে, সেই অনুযায়ী যাচাই-বাছাই করে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে তাঁরা পরবর্তী কার্যক্রম শেষ করবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।
রানির ওজন এখন ২৬ কিলো আর উচ্চতা কুড়ি ইঞ্চি। দাঁতও আছে। কোরবানি দেওয়ার উপযুক্ত হলেও রানিকে দেখে তা বোঝার উপায় নেই।
বিশিষ্ট পশু চিকিৎসকেরা বলছেন, ছোট্ট গরুটি পুরোপুরি সুস্থ হলেও এর উচ্চতা এবং ওজন বাড়ার আর কোনও সম্ভাবনা নেই।
ভেটেরিনারি চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান বলেছেন, আমি অনেক দিন থেকেই গরুটিকে নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি। একজন পশু চিকিৎসক হিসেবে আমার যে পর্যবেক্ষণ, তাতে এই গরুটি উচ্চতাতে তো আর বাড়বেই না, ওজনেও স্থিতিশীল থাকবে।
এই ভরসায় ভারতের এত দিন ধরে দখলে রাখা গিনেজ বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের খেতাব ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে ওই গরুটির মালিক শিকড় এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।