বরিশাল বিভাগে একদিনে সর্বোচ্চ ৪৫৯ জন শনাক্ত করে পূর্বের রেকর্ড ভঙ্গ হয়েছে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় একদিনে সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্ত এবং এই সময়ে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগে নতুন করে ৪৫৯ জন করোনা আক্রাšত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর আগের দিন ২৪ ঘণ্টায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৩৬।
সর্বশেষ আক্রান্তের এ সংখ্যা নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৯হাজার ৫৩২ জন।
একই সময়ে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসাপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৭ জন এবং আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে গেলো ২৪ ঘন্টায় গোটা বরিশাল বিভাগে ১৪ জন করোনা আক্রান্তরোগীর মৃত্যু শনাক্ত হয়েছে। ফলে বরিশাল বিভাগে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩২৬ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস ।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক জানান, মোট আক্রাšত ১৯ হাজার ৫৩২ জনের মধ্যে এখন পর্যšত সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৩৯৪ জন।
আক্রান্ত সংখ্যায় বরিশাল জেলায় নতুন সর্বোচ্চ শনাক্ত ১৭৮ জন নিয়ে মোট ৮ হাজার ৫৩০ জন,পটুয়াখালী জেলায় নতুন ৩৬ জন নিয়ে মোট ২৬১৯ জন, ভোলা জেলায় নতুন ১৪ জন সহ মোট ২১১৭ জন,পিরোজপুর জেলায় নতুন ৮৪ জন নিয়ে মোট ২৫৮৩ জন, বরগুনা জেলায় নতুন ৪৩ জন নিয়ে মোট ১৫৭২ জন এবং ঝালকাঠি জেলায় নতুন ১০৪ জন শনাক্ত নিয়ে মোট আক্রান্ত সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১১১ জন।
এদিকে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র বরিশাল শেবাচিম হাসাপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে সাতজনের এবং করোনায় আক্রান্ত হয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে শুধুমাত্র শেবাচিম হাসপাতালেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২১৮ জন এবং আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৫৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ৫৬১ জনের মধ্যে ২৯ জনের কোভিড টেস্টের রিপোর্ট এখনো হাতে পাওয়া যায়নি।
ওই হাসপাতাল পরিচালক কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার) সকাল পর্যšত শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৫৪ জন ও করোনা ওয়ার্ডে ৩জন ভর্তি হয়েছেন।
করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ২৩৬ জন রোগী চিকিৎসাধীন। যাদের মধ্যে ৪৬ জনের করোনা পজিটিভ এবং ১৯০ জন আইসোলেশনে রয়েছেন। আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১৮৮ জন করোনা পরীক্ষা করান। পজিটিভ শনাক্তের হার ৭৩.৯৩ শতাংশ ।