বরিশাল বিভাগে প্রতিনিয়ত বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা, ভাঙ্গছে একের পর এক পেছনের রেকর্ড। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় একদিনে সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা এ যাবৎকালেরও সর্বোচ্চ।
আর এই সময়ে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগে নতুন করে ৪৩৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর আগের দিন ২৪ ঘণ্টায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৪৩।
আর সর্বশেষ আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৯হাজার ৭৩ জন।
এছাড়া একই সময়ে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসাপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ১১ জনের এবং আক্রান্ত হয়ে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে গেলো ২৪ ঘন্টায় বরিশাল, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি জেলায় ২ জন করে মোট ৬ জন করোনা রোগীর মৃত্যু শনাক্ত হয়েছে।
এ নিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩২১ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, মোট আক্রান্ত ১৯ হাজার ৭৩ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ২৬৫ জন।
আক্রান্ত সংখ্যায় বরিশাল জেলায় নতুন সর্বোচ্চ শনাক্ত ১৫৭ জন নিয়ে মোট ৮ হাজার ৩৫২ জন,পটুয়াখালী জেলায় নতুন ৪৩ জন নিয়ে মোট ২৫৮৩ জন, ভোলা জেলায় নতুন ১৬ জন সহ মোট ২১০৩ জন,পিরোজপুর জেলায় নতুন ৮৩ জন নিয়ে মোট ২৪৯৯ জন, বরগুনা জেলায় নতুন ৩৭ জন নিয়ে মোট আক্রান্ত ১৫২৯ জন এবং ঝালকাঠি জেলায় নতুন ১০০ জন শনাক্ত নিয়ে মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০০৭ জন।
এদিকে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র বরিশাল শেবাচিম হাসাপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে এগারজনের এবং করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে শুধুমাত্র শেবাচিম হাসপাতালেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২১৬ জন এবং আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৫৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ৫৫৪ জনের মধ্যে ২২ জনের কোভিড টেস্টের রিপোর্ট এখনো হাতে পাওয়া যায়নি।
ওই হাসপাতাল পরিচালকের তথ্য সংরক্ষক জাকারিয়া খান স্বপন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার) সকাল পর্যন্ত শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৪৪ জন ও করোনা ওয়ার্ডে ৫জন ভর্তি হয়েছেন। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ২২০ জন রোগী চিকিৎসাধীন। যাদের মধ্যে ৪৭ জনের করোনা পজিটিভ এবং ১৭৩ জন আইসোলেশনে রয়েছেন। আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১৮৮ জন করোনা পরীক্ষা করান। যারমধ্যে ৫৯.৫৭ শতাংশ পজিটিভ শনাক্তের হার।
সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ায় কিছুটা উদ্বেগেরও সৃষ্টি হয়েছে। হাসপাতালগুলোতে করোনার উপসর্গ ও আক্রান্ত হয়ে রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আর তাই জনবল ও চিকিৎসকসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম সংকট উদ্বেগও বাড়াচ্ছে।