বিশিষ্ট কবি, গীতিকার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজল-এ-খোদা (৮১) আজ রবিবার ভোর চারটায় সময় মারা গেছেন। তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ফজল-এ-খোদার বড় ছেলে ওয়াসিফ-এ-খোদা গনমাধ্যমকে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১৯৪১ সালের ৯ মার্চ পাবনা জেলার বেড়া থানার বনগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
তিনি বেতারে গীতিকার হিসেবে তালিকাভুক্ত হন ১৯৬৩ সালে। ১৯৬৪ সালে টেলিভিশনে গীতিকার হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
ছড়াকার হিসেবে লেখালেখি শুরু করেছিলেন ফজল-এ-খোদা। দেশাত্মবোধক, আধুনিক, লোক সংগীত এবং ইসলামিক গান লিখে তিনি প্রশংসা কুড়িয়েছেন। ঢাকা বেতারের সাবেক এই আঞ্চলিক পরিচালক শিশু কিশোরদের সংগঠন শাপলা শালুকের আসরের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক।
ফজল-এ-খোদা ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’ সহ বহু কালজয়ী গানের গীতিকার। বিবিসির জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাংলা গানের তালিকায় সেরা ২০ গানের মধ্যে ফজল-এ-খোদার লেখা ‘সালাম সালাম হাজার সালাম গানটি’ ১২তম স্থান পেয়েছে।
তার রচিত গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য-‘যে দেশেতে শাপলা শালুক ঝিলের জলে ভাসে’, ‘ভালোবাসার মূল্য কতো, আমি কিছু জানি না’, ‘কলসি কাঁধে ঘাটে যায় কোন রূপসী’, ‘বাসন্তী রং শাড়ি পরে কোন রমণী চলে যায়’, ‘আমি প্রদীপের মতো রাত জেগে জেগে’, ‘ভাবনা আমার আহত পাখির মতো’, ‘প্রেমের এক নাম জীবন’, ‘বউ কথা কও পাখির ডাকে ঘুম ভাঙেরে’, ‘খোকন মণি রাগ করে না’।
প্রসঙ্গত, ফজল-এ-খোদার স্ত্রী মাহমুদা সুলতানা, তাদের বড় ছেলে ওয়াসিফ-এ-খোদাও সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত। তাদের মধ্যে মাহমুদা সুলতানাও সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।