লকডাউনের বরিশালে তৃতীয় দিনে শনিবার ৩ জুলাই বরিশালে অধিকাংশ দোকানপাট ও সড়ক-মহাসড়কে অধিকাংশ যান চলাচল বন্ধ ছিল। তবে সড়কে আগের চেয়ে বেশী লোক চলাচল করতে দেখা গেছে।
তবে শুক্রবারের চেয়ে অভ্যন্তরীন সড়কে যান ও লোক চলাচল কিছুটা বেড়েছে। সকাল থেকে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের সাথে বিজিবির ইউনিটকে বরিশালে টহল দিতে দেখা গেছে।
নগরীর বেলতলা খেয়াঘাটে অবৈধভাবে ট্রলার চলতে দেখা যায়। পরে ম্যাজিষ্ট্রেট ও বিজিবি ঘটনাস্থলে আসলে তারা ঘাট ত্যাগ করে।
এদিকে নগরীর পোর্ট রোড পাইকারী ম]স বাজারে বিজিবি ও মাজিষ্ট্রেট অভিযান চালিয়ে মাস্কবিহীন ক্রেতাদের জরিমানা করে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রট জয়া ত্রিপুরাা, মুশফিকুর রহমান ও জাবেদ হাসান চৌধুরীর সমম্বয়ে তিনটি মোবাইল কোর্ট নগরীর বেলতলা , আমানতগঞ্জ, বাজার রোড, পোর্টরোড, নতুন বাজার চৌমাথা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোট ২৩ টি মামলা দায়ের করে। সেই সাথে পয়ত্রিশ হাজার দুইশো টাকা জরিমানা আদায় করে।
এদিকে করোনার বিস্তার রোধে জেলা প্রশাসক জসীমউদ্দিন হায়দার এর অয়োজনে র্যাব, পুলিশ, স্বাস্থ্যবিভাগ সহ সরকারী কর্মকর্তাদের সাথে শুক্রবার রাতে বৈঠকে জনসমাগম প্রতিরোধে নগরীর হোটেল মোটেল রেস্তোরাঁ শনিবার হতে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এর আগে গত শুক্রবার লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে সমগ্র বরিশাল জেলা ও মহা নগরীতে বিধিনিষেধ ভঙ্গ করে বিনা প্রয়োজনে ঘোরাফেরা, দোকান খোলা রাখা ও মাস্ক না পরার দায়ে ১১৩ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ১৯ হাজার ৫৫০ টাকা জরিমানা করেছেন বরিশাল মহানগরীতে ও ১০ উপজেলায় জেলা প্রশাসন পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার জানান, শুক্রবার (২ জুলাই) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পরিচালিত এসব অভিযানে সহায়তা করেন বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা।
এ দিন নগরীতে সাতজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালিয়ে ৩৬ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন অপরাধে ১৯ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করেন।
পাশাপাশি জেলার ১০ উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনাররা (ভূমি) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৭৭ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পৃথক মামলায় ৯৯ হাজার ৮৫০ টাকা জরিমানা করেন।
এছাড়া বরিশালে মেট্রোপলিটন ও জেলা পুলিশের উদ্যোগে শুক্রবারে জুম্মার নামাজের আগে ও পরে জেলার বিভিন্ন মসজিদে পুলিশের পক্ষ থেকে মসজিদের সামনে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, খুতবার বয়ানের আগে করোনা সংক্রমণ রোধে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা ও বিনামূল্যে মাস্ক-হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়।