সরকার-ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে সাপ্তাহিক ছুটি ও সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে নাটোরের বিভিন্ন সড়কে প্রায় জনশূন্য অবস্থায় দেখা গেছে। নাটোরের হরিশপুর বাইপাস, স্বাধীনতা চত্বর, শহরের প্রাণকেন্দ্র, স্টেশন বাজার, বনবেল ঘড়িয়া বাইপাসসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জনশূন্য দেখা গেছে। রাস্তার মধ্যে দু’একটি রিকশা ও সরকারি কিছু গাড়ি ছাড়া তেমন কিছুই চোখে পড়েনি। বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট। তবে নাটোর পৌরসভার কয়েকটি মহল্লায় এবং সবজি বাজার গুলোতে সকালে জনসমাগম দেখা গেছে। লালবাজার মহল্লার দেবাশীষ সাহা জানান, “সবজি বাজারে বাজার করতে যাওয়া আসার সময় দেখলাম, নাটোর শহর কেমন ফাঁকা অবস্থা, এমন ফাঁকা ঠিক কবে দেখেছি, তা মনে পড়ছে না, মাঝেমধ্যে দুই-একটি রিকশা দেখেছি, তাও অনেক কম“ । সকালে নিচাবাজারে পাইকারি ক্রেতা ও বিক্রেতাদের কিছুটা ভিড় দেখা গেছে। বাজারে সবজি কিনতে আসা আসাদ নামে এক ক্রেতা জানান, “ভ্যান নিয়ে আসার পথে রাস্তায় পুলিশ একবার আটকেছিল। কী কাজে বের হয়েছি, তা বলার পর ছেড়ে দিয়েছে।“ নাটোরের জনগণ যদি সচেতন হয়, সরকারি বিধি-নিষেধ মেনে চলে, প্রশাসন যদি এমন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন, তাহলে করোনা যুদ্ধে জয়ী হবেন নাটোরবাসী। এমন প্রত্যাশা নাটোরের সচেতন মহলের।
নাটোরে কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে জনশূন্য সড়ক
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন
একটি মন্তব্য করুন