রাজশাহী জেলার বাগমারা থানা পুলিশ অবশেষে পুলিশের হাতে ভারতের তৈরি ফেন্সিডিলসহ ভাগ্নে লিটন হোসেন (৩৬) ধরা পড়েছেন। এসময় তাঁর এক সহযোগী পালাতে সক্ষম হলেও পাঁচজনকে আটক করা হয়।
তাঁদের কাছ থেকে ১৪ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। আটক হওয়া অন্যরা হলেন উত্তর একডালা গ্রামের মশিউর রহমান (৩৫), রামরামা গ্রামের সজল সরকার (২৮), সূর্য্যপাড়া গ্রামের রাজু আহম্মেদ (২১) ও চানপাড়ার নূর আলম (৩৬)।
এসময় দেউলা গ্রামের আলতাফ হোসেন (৩৮) নামের আরেকজন পালিয়ে যান। এর আগে গত ৯মার্চ ভাগ্নের আস্তানা থেকে র্যাব ফেন্সিডিলসহ কয়েকজনকে ধরলেও লিটন পালিয়ে যান। লিটন হোসেন উপজেলার নরসিংহপুর গ্রামের নাদিরুজ্জামানের ছেলে। এলাকায় তিনি ভাগ্নে লিটন হিসাবে পরিচিত।
বাগমারা থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, সোমবার ২৮ জুন, রাতে পুলিশের কাছে খবর আসে উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জে মাদকসহ কয়েকজন যুবক ঢুকবে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের একটি ছদ্মবেশি দল দেউলা চৌরাস্তা মোড়ে অবস্থান নেয়।
রাত সাড়ে ১২টার দিকে একটি মাইক্রোবাস চৌরাস্তায় পৌঁছালে পুলিশ তা থামিয়ে দেয়। এসময় পুলিশ মাইক্রোবাসে থাকা যুবকদের চ্যালেঞ্জ করে। পরে সেখানে তল্লাসি শুরু করে। এসময় মাইক্রোবাসের ভেতরে থাকা আলতাফ হোসেন নামের একজন ব্যক্তি দৌড়ে পালিয়ে যান।
পরে পুলিশ মাইক্রোবাসের ভেতরে বিশেষ ব্যবস্থায় রাখা একটি থলে থেকে ১৪ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল উদ্ধার করে। পরে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। রাতেই পলাতক আলতাফ হোসেনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর মঙ্গলবার ২৯ জুন, দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে গত ৯ মার্চ র্যাবের একটি দল ভবানীগঞ্জের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার ফেন্সিডিলসহ আটক করে। তবে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে লিটন পালিয়ে যান।