শোলে সিনেমার জন্য একমাত্র ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছিলেন সেই ছবির সম্পাদক— এম এস সিন্ধে।
শুধু শোলে নয়, শাহরুখ খান-সহ তাবড় তাবড় নায়কদের অভিনীত সিনেমা— জামানা দিওয়ানা, মেরে সানাম, ব্রহ্মচারী, সীতা অউর গীতা, ঝিল কে উস পার, আলিবাবা অউর চল্লিশ চোর, শান, শক্তি, রাম জান-এর মতো হাতে গুনে শেষ করে করা যাবে না এত বিখ্যাত সিনেমা এডিট করেছেন তিনি। এক টানা পঁয়ত্রিশ বছর নিজেকে নিংড়ে দিয়েছেন সিনেমার জন্য।
সে জন্য প্রচুর সম্মান পেয়েছেন। পুরস্কারও পেয়েছে অজস্র। সব সময় থেকেছেন আলোর ঝলকানির মধ্যে। অথচ সে ভাবে রোজগার করতে পারেননি কোনও দিনই।
প্রবল দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করে করে আর থাকতে না পেরে, শেষ বয়সে বম্বের ধারাভি বস্তির একটি ভাড়ার ঝুপড়িতে এসে ওঠেন। শুধু তাইই নয়, শুধুমাত্র দু’বেলা খাবার জন্য রাস্তার ধারে বসে ভিক্ষে করতে শুরু করেন তিনি।
তাতেও এই কিংবদন্তী ফ্লিম এডিটরকে দিনের পর দিন কাটাতে হয় অনাহারে। অর্ধাহারে। অসুস্থ হওয়ার পরে আর পাঁচ জন সাধারণ লোকের মতোই সরকারি হাসপাতালে ঘন্টার পর ঘন্টা ধরনা দিয়ে ডাক্তার দেখিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু ওষুধ কেনার মতো সামান্য আর্থিক সঙ্গতিও তাঁর ছিল না। এ খবর জেনে ও কেউ তাঁর পাশে এসে দাঁড়ায়নি। না কেউ ব্যক্তিগত ভাবে, না কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এবং এখানেই অতি সাধারণ একজন ভিখারির মতোই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।