নাটোরে করোনাসহ উপসর্গে ৭ জন মারা গেছে। এর মধ্যে নাটোর সদর হাসপাতালে আব্দুর রহমান (৬০) এবং লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে জামাত দফাদার (৮৮) নামে দুই জন করোনায় এবং সদর হাসপাতালে মোশারফ (৫০) ও বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ইনসার আলী (৫২) নামে একজন উপসর্গে মারা গেছেন। এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যাওয়া ১৩ জনের মধ্যে ৩ জন নাটোরের। এদের একজন করোনায় এবং অপর ২জন করোনা উপসর্গে মারা গেছে।
নাটোর সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ পরিতোষ কুমার রায় জানান, হাসপাতালে আনার পর আব্দুর রহমান মারা যান। তার নমুনা পরীক্ষা করে করোনা পজেটিভ আসে। অপরদিকে মোশারফ উপসর্গে মারা যান।
বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ ফরিদুজ্জামান জানান, ইনসার আলী জ্বর সর্দি ও কাশি নিয়ে হাসপাতালে আসে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে তার সজনরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতির সময় তিনি মারা যান।
অপরদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানীর দেয়া তথ্যে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘন্টায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে নাটোরের ৩ জন রয়েছেন। এই ৩ জনের ১ জন করোনায় এবং অপর ২ জন উপসর্গে মারা গেছেন।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় নাটোরে জিন এক্সপার্ট ও এন্টিজেন টেষ্টে ৭৭ জনের রেজাল্ট করোনা পজেটিভ হয়েছে। ২৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এছাড়া পিসিআর মেশিনে ১১ জনের নমুনা পরীক্ষায় সকলের নেগেটিভ আসে। জেলায় মোট আক্রান্ত ২৮০৮ জন। সিংড়া উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে ৯ জন সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। জেলায় সংক্রমনের হার ৩৩.০৪ শতাংশ।
নাটোরের সিভিল সার্জন ডাঃ কাজী মিজানুর রহমান লালপুর ও সদর হাসপাতালে করোনায় দুই জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপতাল থেকে মৃত্যুর বিষয়ে কোন তথ্য বা কাগজ এখনও তারা হাতে পাননি। পেলে জানাতে পারবেন বলে জানান তিনি।
এদিকে নাটোর ও সিংড়া পৌর এলাকায় করোনা রোধে জেলা প্রশাসন ঘোষিত দু’দফায় ১৪ দিনের কঠোর লকডাউনের আজ ১৩ তম দিন। প্রতিদিেিনর মত আজও সকাল থেকে শহরের গুরুত্বপুর্ন এলাকায় কঠোর অবস্থান নিয়ে যানবাহন ও জনসাধারন চলাচল সীমিত করার কাজ করছে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের একাধিক মোবাইল টিম কাজ করছে।